প্রতীকী ছবি।
পি ভি সিন্ধু কোন রাজ্যের আদত বাসিন্দা, তা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ আর তেলঙ্গানা রাজ্যের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলল খুব। রুপো জিতে আসা সোনার টুকরো মেয়ে তাদেরই। দুই রাজ্যের প্রতিযোগিতা নয়নমনোহরও ঠেকল অনেকের কাছেই। দেশের মান রাখল বেটিরাই, বেটি খেলাও, বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও— সমাজ জুড়ে কত কথা তখন। স্বাভাবিক। তখন ন্যাপন চোপনের সময়।
কিন্তু ন্যাপন চোপন যে আসলে উপরেই, ভিতরে খড়েরই গোঁজা— এই বাস্তবটা যাবে কোথায়? কন্যাসন্তান যে এই দেশে অধিকাংশের কাছে অবাঞ্ছিত, এই কর্কশ সত্যের প্রতিফলন হয়তো ঘটছে দেশের প্রায় প্রতি প্রান্তে, প্রতি মুহূর্তেই। তবু স্পষ্ট প্রমাণে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরই প্রায় সর্বাগ্রে এগিয়ে এল। জ্যোতিষী বলেছেন, কন্যাসন্তান আসছে, অতএব বধূ নির্যাতনের বর্বর ছবি দেখল দেশ, দেখল পেটে অ্যাসিড ঢেলে একই সঙ্গে সম্ভাব্য কন্যাভ্রূণ এবং তার জননীকে হত্যার উপায় আবিষ্কার করেছে আমাদের সমাজ।
বস্তুত, কঠোরতম শাস্তির দৃষ্টান্ত ছাড়া এই পাপের থেকে মুক্তি মিলবে না আমাদের। শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে রক্তে প্রবাহিত বহু কুসংস্কার ও সভ্যতাবিরোধী ভাবনাকে নির্মূল করা গিয়েছে কঠোর আইনের মাধ্যমেই। রাষ্ট্রকে, সরকারকে, প্রশাসনকেই এই জঙ্গল পরিষ্কারের দায়িত্ব নিতে হবে।
বেটি বাঁচাও স্লোগানকে সার্থক করে তুলতে পারার কাজটা কঠিন। অসম্ভব কোনও ভাবেই নয়। আমরা পারব না সভ্য হয়ে উঠতে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy