Advertisement
২০ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

শহরটার এ কী হাল হয়েছে

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

শহরটার এ কী হাল হয়েছে

আমি এক জন মা। বিগত বছরখানেক ধরে লক্ষ করছি কলকাতা শহরের গণ পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। আমাদের নিজেদের গাড়ি নেই। সারা দিন ধরে স্কুলে-পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমাকে বাস-অটো-ট্যাক্সিতে চেপে তাদের লেখাপড়ার জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটোছুটি করে বেড়াতে হয়। বেশ কয়েক মাস ধরে শহরে প্রাইভেট/সরকারি বাস চলাচল অস্বাভাবিক ভাবে কমে গিয়েছে। শুনছি, বাসের ভাড়া বিৃদ্ধ নিয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে সরকারের রেষারেষির ফলেই এই দুরবস্থা। কিন্তু আমাদের মতো উলুখাগড়াদের প্রাণ বিপন্ন। বাসগুলিতে বাদুড়-ঝোলা ভিড়। তা-ও সব সময় মেলে না। অনেক বেশি গাঁটের কড়ি খরচা করে অটো ও ট্যাক্সিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কারণ, যে কোনও মূল্যে গন্তব্যে আমাকে পৌঁছতে হবেই।

ভোগান্তি চরমে উঠল ৭ অগস্ট। দু-চোখ ফেটে জল আসার উপক্রম। আমার নবম শ্রেণিতে পড়া সন্তানকে নিয়ে যাব বাগুইহাটি থেকে শরত্‌ বসু রোডে রোটারি সদন। সেখানে সে স্কুলের একমাত্র প্রতিনিধি রূপে একটি বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। সকাল দশটার মধ্যে পৌঁছতেই হবে। নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার জন্য রাস্তায় কোনও বাসে ভিড়ের চাপে উঠতে পারলাম না। ট্যাক্সিও অমিল। সে দিন নাকি ওদের ধর্মঘট। দু-একটা যা ছিল, তারা দর হাঁকছে চার গুণ। ফাঁকা বেশ কয়েকটা অটো বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করলাম, সঙ্গে স্কুলপড়ুয়া ছেলে আছে, পরীক্ষা দিতে যাবে, একটু উল্টোডাঙায় পৌঁছে দিন। তারা মাথা নেড়ে মুখের উপর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ছেড়ে চলে গেল, কোথায় কে জানে! আমার বাচ্চা ছেলেটার চোখে জল। আমার অসুস্থ শরীর কাঁপছে। যা থাকে কপালে বলে টিনের বাক্স মতো একটা মিনিবাসে কোনও ক্রমে নিজেদের দু’জনকে গুঁজে দিয়ে সারা পথ পিষ্ট হতে হতে গন্তব্যে।

এ কী হাল হয়েছে আমাদের প্রিয় শহরের! মানুষের স্বস্তিতে ও সভ্য ভদ্র ভাবে যাতায়াতের, চলাচলের কোনও ব্যবস্থা কি থাকবে না? এই কোটি মানুষের নগরে প্রশাসন বলতে কি কিছু থাকবে না, যারা গণ পরিবহণকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম? এর পরে কোন মুখে বলব যে, কলকাতা লন্ডন হবে?

কর্তৃপক্ষ এক জন অসহায় মায়ের আর্তিতে কর্ণপাত করবেন কি?

কেকা দাশঘোষ। কলকাতা-১০১

বাস বন্ধ

বর্ধমান জেলার কাটোয়া ১-নং ব্লক ও মঙ্গলকোট ব্লকের সঙ্গে সংযোগস্থাপনকারী চন্দ্রপুর থেকে নিগনচটি ১৪ কিমি রাস্তাটিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গ্রামবাসীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। বর্ধমান জেলা পরিষদের অধীন এই বেহাল রাস্তাটির পাশে রয়েছে চন্দ্রপুর কলেজ, তিনটি হাইস্কুল, দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, চারটি বাজার, দুটি গ্রামীণ হাসপাতাল, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিস, দুটি পঞ্চায়েত অফিস। তাই প্রতিদিন অফিসযাত্রী, ছাত্র-ছাত্রী, নিত্যযাত্রী, রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। মেমারি-নিগনচটি, মালডাঙা-বর্ধমান, কাটোয়া-বর্ধমান, মালম্বা-কটোয়া, কৃষ্ণনগর-বোলপুর, নবদ্বীপ-বেনাচিতি, মেমারি-বাসাপাড়া প্রভৃতি রুটের বাসগুলি রাস্তা খারাপের জন্য দীর্ঘ দিন বন্ধ রয়েছে।

২০০৮-০৯ সালে বর্ধমান জেলা পরিষদ নাবার্ড-এর আর্থিক সহযোগিতায় এই ১৪ কিমি রাস্তাটি তৈরি করে। তার পর থেকে এক বারও সংস্কার না-হওয়ায় বর্তমানে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে।

গৌরাঙ্গ মাজি। সরগ্রাম, বর্ধমান

পোস্টকার্ড উধাও

হুগলি জেলার বিভিন্ন ডাকঘরে আজ কয়েক মাস পোস্টকার্ড পাওয়া যাচ্ছে না। পোস্টকার্ড কি ডানা মেলে উধাও হল? ডাক কর্তৃপক্ষ এত উদাসীন কেন? অতি সত্বর পোস্টকার্ড সরবরাহ করা হোক।

আশিস ভড়। রাজবলহাট, হুগলি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

anandabazar editorial letter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE