Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু

সম্পাদক সমীপেষু

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০১
ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

স্টেশন না বাজার

কৃষ্ণনগর সিটি স্টেশন আর স্টেশন চত্বর খুব নোংরা। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে বাইরে বেরোবার পথই খুঁজে পাওয়া যায় না। স্টেশন তো নয়, যেন ছোটখাটো বাজার। ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের অবস্থাও তথৈবচ। গোটা প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ছোট বড় নানা দোকান। নানান পশরা সাজিয়ে বসেন দোকানি। খাবার তৈরির জন্যে প্রচুর জ্বলন্ত স্টোভ ও কয়লার উনুন। দোকান, ক্রেতা, যাত্রীর ভিড় ঠেলে স্টেশনের বাইরে এলে বাস, লরি, অটো, ভ্যান-রিকশা, সাইকেল-রিকশা, মোটর-সাইকেল, সাইকেল, ব্যাটারি চালিত গাড়ির বিচিত্র বিশৃঙ্খলা। স্টেশনের কাছে যানজট প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে।

স্বপনকুমার দে। কল্যাণী, নদিয়া

নীল এলইডি

নীল এলইডি আবিষ্কারের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে পথিক গুহ আসল কথাটি উল্লেখ করতে পারেননি। প্রথম লাল এলইডি আবিষ্কার করেন নিক জলনিয়াক ১৯৬২ সালে (পঞ্চাশ দশকে নয়)। তার পর হলুদ, সবুজ ও ইনফ্রা-রেড এলইডি তৈরি হয় এবং তাদের নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়। ভারতে সত্তর দশকে লাল এলইডি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি হয় সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিকস লিমিটেড-এর সাহিবাবাদ শিল্প সংস্থায়। চাহিদা কম থাকায় ও বিদেশের এলইডি-র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এই ব্যবসায় বিরতি টানতে হয়।

পথিক গুহ সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহীর উল্লেখ করেছেন, কিন্তু যে অর্ধপরিবাহী দিয়ে নীল এলইডি তৈরি হয়েছিল, তার কোনও উল্লেখ নেই। তিরিশ বছর চেষ্টার পর এ ব্যাপারে তিন জাপানি সফল হয়েছিলেন সঠিক অর্ধপরিবাহী নির্ধারণ করেছিলেন বলে। জার্মানি ও মার্কিন মুলুকের বিজ্ঞানীরা যখন জিঙ্ক সেলেনাইড নিয়ে গবেষণারত, তখন এক অখ্যাত বিজ্ঞানী নাকামুরা গ্যালিয়াম নাইট্রাইড নিয়ে গবেষণায় মন দেন। তাঁর গবেষণার জন্য তাঁর নিয়োগকর্তা কোম্পানির কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারের অনুদান পান এবং অনেক বাধা অতিক্রম করে বছর কয়েক পরে সফল হন। প্রথম কারণ যদি হয় সঠিক অর্ধপরিবাহী নির্বাচন, দ্বিতীয় কৃতিত্ব এই প্রায় নতুন পদার্থে পি-এন জংশন তৈরি করা।

সিলিকন বা জারমেনিয়াম যেমন সহজেই এন-টাইপ বা পি-টাইপ করা যায় এবং সেই ভাবে ব্যবহৃত হয়, জিঙ্ক অক্সাইড বা গ্যালিয়াম নাইট্রাইড শুধু এন-টাইপ অবস্থায় তৈরি করা যেত। যথেষ্ট বুদ্ধি ও দক্ষতার সঙ্গে তিন জাপানি গবেষক পি-টাইপ তৈরি করতে ও এলইডি বানাতে সক্ষম হন নব্বই দশকে।

আই আই টি খড়্গপুরের গবেষণাগারে আমরা ভারতে প্রথম গ্যালিয়াম নাইট্রাইড প্রস্তুত করতে সক্ষম হই। তবে তার পরে কোনও অনুদান মেলে না। নীল এলইডি আবিষ্কারের দশ বছর পর এখন ভারতের অনেক গবেষণাগারে এই সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে গবেষণা চলছে। বিদেশে কোনও আবিষ্কারের পরই আমাদের আমলাতন্ত্র ও উচ্চস্তরের বিজ্ঞানীরা সজাগ হয়ে ওঠেন।

ডি এন বসু। আই আই এস সি বেঙ্গালুরু ও আই আই টি খড়্গপুর

প্রতিবেদকের বক্তব্য: পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটি যে তথ্য প্রকাশ করে, তাতে লাল এলইডি আবিষ্কারের সময়কাল ১৯৫০-এর দশকের শেষাশেষি বলে জানানো হয়েছিল। সেই তথ্য সংশোধনের জন্য আমি পত্রলেখকের কাছে ঋণী। তবে অর্ধপরিবাহী গবেষণার কিংবা ভারতে গ্যালিয়াম নাইট্রাইড প্রস্তুতের ইতিহাস বর্ণনা আমার রিপোর্টের উদ্দেশ্য ছিল না।

ছবির মাসুল

কেরলের কোচিতে তরুণতরুণীর প্রকাশ্যে চুম্বনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রছাত্রীর প্রকাশ্যে চুম্বন প্রদর্শনের সচিত্র সংবাদ (৬-১১) পড়তে গিয়ে ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরে অবস্থান কালে সেখানকার ‘স্ট্রেট টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত সচিত্র একটি সংবাদের কথা মনে পড়ল। সেখানে কাজের দিনে দুপুরবেলায় একটি নির্জন পার্কে এক চুম্বনরত তরুণতরুণীর ছবি প্রকাশিত হয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষ ওই তরুণতরুণীকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী বলে অস্বীকার করেন। কারণ, সে দেশে কাজের দিনে দুপুরে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কোনও ছাত্রছাত্রী বাইরে থাকে না।

শিশির মজুমদার। প্রাক্তন সদস্য সচিব, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য, নাটক, সংগীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি, কলকাতা-৭

editorial letter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy