জঙ্গলমহলের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত আট জন জওয়ান (এক সেকশন) ও এক জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ থাকবে। অন্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির প্রতিটি বুথে থাকবে অন্তত চার জন জওয়ান এবং এক জন করে লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ। লাঠিধারী পুলিশের কাজ হবে ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করা। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সাধারণ ভোটারের ভাষার সমস্যা হলে সাহায্য করা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার দিব্যেন্দু সরকার শনিবার এই ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।
মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় ভোটের দিন দু’টি হেলিকপ্টার আকাশপথে নজরদারি করবে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাদের সঙ্গে মাটিতে থাকা অফিসারদের যোগাযোগ থাকবে। উড়ন্ত অবস্থায় সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে মাটিতে থাকা অফিসারদের তা জানানো হবে। যাতে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। তেমন কিছু ঘটলে দ্রুত আকাশপথে আহতদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। তিন-চারটি ভোটকেন্দ্র নিয়ে এক-একটি সেক্টর। প্রতি সেক্টর ঘেরা থাকবে চারটি নিরাপত্তা বলয়ে।
দিব্যেন্দুবাবু জানান, এই ব্যবস্থার পরেও প্রয়োজনে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে। ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য সাহায্য চাইলে তারও ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী আগেই জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তা চাইলে কমিশন ভোটারের জন্য সেই বন্দোবস্ত করবে। কমিশন সূত্রের খবর, আগামী সোমবার প্রথম দফার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। এর জন্য প্রায় ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে। দিব্যেন্দুবাবু জানান, প্রথম দফায় তিন জেলার যে ১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে, তার মধ্যে ১৩টি মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায়। সেখানে ভোট নেওয়া হবে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বাকি ৫টি কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। দিব্যেন্দুবাবু জানান, প্রথম দফার ভোটের ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য থাকছে ৪,২০৩টি ভোটকেন্দ্র। বুথের সংখ্যা ৪,৯৪৫টি। ১,৭৪১টি ভোটকেন্দ্রকে এবং ১,৯৬২টি বুথকে অতি-স্পর্শকাতর চিহ্নিত করেছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy