ভোটের আগের শেষ রবিবাসরীয় বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে প্রচার সারলেন সব দলের নেতানেত্রীরা।
এ দিন বিকেলে রায়দিঘি রোডের বেলগাছিয়া মোড় থেকে জোটের প্রার্থী সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে মিছিল হয়। ছিলেন প্রার্থী স্বয়ং এবং সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। মিছিলে ভাল ভিড় হয়েছিল। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা ফুল ছোড়েন। শঙ্খধ্বনি করেন। মিছিল শুরুর পরে তাতে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। মিছিল হোগলডাঙা গ্রাম সংলগ্ন মাঠে আসার পরে সভা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, ‘‘মানুষ সকালে উঠে চা খায়। কিন্তু তৃণমূলের মন্ত্রীরা সকালে উঠেই ঘুষ খাচ্ছে। দিদি আগে ছবি এঁকে দল চালাতেন। এখন ছবি আঁকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হেলিকপ্টার চড়ে প্রচারে যাচ্ছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার জন্যেই ভেঙে পড়েছে উড়ালপুল। সভায় কান্তিবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে রায়দিঘির উন্নয়ন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
এ দিন পাথরপ্রতিমা এবং কাকদ্বীপে যৌথ সভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। দু’টি সভাতেই ভিড় হয়েছিল ভাল। জোটের নেতারা দাবি করেন, ভোটের এক একটি দফা শেষ হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে। অধীরবাবুর কথায়, ‘‘যেখানেই ঝামেলা হোক, একটি এসএমএস করবেন আমাকে।’’ সুজনবাবুর দাবি, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের পাশে থাকবেন এই আশাতেই অনেকে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। এখন তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন যে কী ভুল করেছিলেন।’’ এ দিনই কাকদ্বীপের মধূসূদনপুরে তৃণমূল প্রার্থী মণ্টুরাম পাখিরার প্রচারে আসেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সাগরের রুদ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী বঙ্কিম হাজরার সভা করেন বিদায়ী মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পাথরপ্রতিমার হেরম্বগোপালপুরে তৃণমূল প্রার্থী সমীর জানার নেতৃত্বে মিছিল ও সভা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy