নিজস্ব চিত্র
কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। অবশেষে বিজেপি-তেই যোগ দিলেন উত্তরবঙ্গের সিপিএম ছেড়ে যাওয়া নেতা শংকর ঘোষ। শুক্রবার শিলিগুড়িতে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তিনি। গেরুয়া শিবির তাঁকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনে প্রার্থী করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল ইতিমধ্যেই তাদের প্রার্থী হিসাবে রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবের কথা ঘোষণা করেছে।
দু’দিন আগেই দলীয় সমস্ত পদের পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন শঙ্কর। দলীয় সদস্যপদও ছাড়েন। পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। শুক্রবার দলবদলের পর শিলিগুড়িতে শংকর বলেন, ‘‘দু’টি দলই শৃঙ্খলাবদ্ধ। কিন্তু সিপিএমের এখন নীতির ঠিক নেই। ভোটের লক্ষ্যে ওরা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট করেছে। যাঁরা জিতছেন তাঁরা টিকিট পেলেও যাঁরা হেরেই চলেছেন, তাঁদেরও ফের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। নতুনদের জায়গা কোথায়? দল কি দমিয়ে রাখার নীতি নিয়েছে? তাই বাধ্য হয়েই সিপিএম ছেড়ে বিজেপি-তে এলাম। বিজেপি দেশের কথা বলে। এখন প্রধানমন্ত্রীই আমার আদর্শ। তার দেখানো পথেই জনসেবা করতে চাই।’’ যদিও শংকরের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি শিলিগুড়ির মেয়র তথা বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।
শঙ্করকে পাশে নিয়ে কৈলাস বলেন, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপি-র নেতার অভাব নেই। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তারকা বলেছেন, নির্বাচনে লড়বেন না। তবুও আমরা মিঠুনের সঙ্গে কথা বলব।’’ বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? কৈলাসের জবাব, ‘‘নির্বাচিত বিধায়করাই দলনেতা বাছাই করবেন। সেই দলনেতাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সহানুভূতি পেতেই দিদি এ সব করছেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ এতে দুঃখ পেয়েছেন। দু’শো পুলিশ নিয়ে মমতা চলেন। তার মধ্যে তাঁকে কে ধাক্কা মারবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy