Advertisement
১০ মে ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: হারে দায়ী গুরুং, দাবি বিনয়ের

রবিবার ভোটের ফল বেরোতেই দেখা যায়, পাহাড়ের তিনটি আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কালিম্পঙে জিতেছেন বিনয়পন্থী রুদেন সাদা লেপচা।

বিমল গুরুং

বিমল গুরুং ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২১ ০৬:০৯
Share: Save:

সাড়ে তিন বছর পাহাড় ছাড়া হয়ে জঙ্গলে থেকে বিমল গুরুং ‘সদর্থক ভাবনা’ই ভুলেছেন বলে মন্তব্য করলেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। তাঁর বক্তব্য, সেই কারণে সাধারণ মানুষের সঙ্গে গুরুংয়ের যোগাযোগও কমেছে। গুরুং-বিরোধী মোর্চার সভাপতি বিনয়ের পরামর্শ, আর কাউকে ভয়, হুমকি বা লাল চোখ না দেখিয়ে গুরুং বরং হাতেগোনা অনুগামীরাদের নিয়ে বিশ্রাম নিন।

সোমবার দুপুরে দার্জিলিঙের পার্টি অফিসে বৈঠক করেন বিনয়েরা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত পাহাড়বাসীকে আমার প্রণাম, ভালবাসা। পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে, এটা আমাদের আশা। তবে বিমল গুরুংকে মানুষ তাঁর অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছে। তিন বছরে পাহাড় বদলেছে। আসলে সদর্থক ‘কম্পাস’ হারিয়ে ওঁর আর কোনও দিকজ্ঞান নেই।’’ গুরুং অবশ্য এ দিনও পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে করোনা নিয়ে লড়াইয়ের কথা ছাড়া কিছু বলেননি।

রবিবার ভোটের ফল বেরোতেই দেখা যায়, পাহাড়ের তিনটি আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কালিম্পঙে জিতেছেন বিনয়পন্থী রুদেন সাদা লেপচা। দার্জিলিঙে জেতেন জিএনএলএফ নেতা তথা বিজেপি প্রার্থী নীরজ জিম্বা এবং কার্শিয়াঙে বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। কিন্তু দু’টি আসনেই দ্বিতীয় স্থানে বিনয়েরা আছেন। আর বিমলপন্থীরা ভোট কাটাতেই বিজেপি জিতেছে। না হলে তিনটি আসনেই বিনয়পন্থীদের জেতার সম্ভাবনা ছিল। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে এক সময়কার পাহাড়ের ‘একচ্ছত্র অধিপতি’ গুরুংয়ের পায়ের তলার মাটি যে অনেকটাই সরে গিয়েছে, তা বুঝে যান পাহাড়বাসী।

বিনয় বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ের পাঁচটি দলকে একসঙ্গে নিয়ে লড়ে ১ লক্ষ ৯৬ হাজারের মতো ভোট পেয়েছে। আমরা একা লড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছি। আর গুরুং শিবির পাহাড়ের তৃণমূল-সহ কয়েক সংগঠনের সমর্থন নিয়ে ১ লক্ষের মতো ভোট পেয়েছে। এতেই পরিষ্কার, পাহাড়ের মানুষ নতুন দিশার মোর্চাকেই মান্যতা দিয়েছেন।’’ বিনয় এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বরাবর তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী ছিলেন। তাই থাকছেন। কালিম্পঙের বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন।

গুরুংকে কটাক্ষ করে বিজেপিকেও এ দিন একহাত নেন বিনয়। তিনি জানান, বিজেপি তো দার্জিলিঙে জেতেনি। জিএনএলএফ জিতেছে। আর কার্শিয়াঙে বিধায়কও তো কদিন আগে গুরুংয়ের মোর্চায় ছিলেন। গত ১২ বছরে মোর্চা পাহাড়ে সাংসদ তৈরি করেছে। বিজেপি নয়। তাই এ বার বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গেল। বিজেপির সাংসদ থেকে বিধায়কেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব না করে রাস্তায় নেমে কাজ করুন। মানুষ তাই চাইছে। তবে দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙে হেরে স্থানীয়দের কাছে অভিমানের সুরে বিনয় আবেদন করেছেন, বর্ষা আসছে। রাস্তা সাফাই, ত্রিপল, খাবারের জন্য মোর্চা নয়, বিজেপির সাংসদ ও দুই বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE