মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এগরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভামঞ্চে যখন শিশির অধিকারী, তখনই কাঁথির সভা থেকে ‘গদ্দার’ তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বললেন, ‘‘গদ্দারদের চিনতে পারিনি। ওরা গিয়েছে, ভাল হয়েছে।’’ আর শিশির বললেন, ‘‘এ লড়াই আত্মসন্মানের লড়াই।’’
রবিবার কর্মসূচির শুরুতেই দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন মমতা। শুরুতেই বলেন, ‘‘আগে কাঁথিতে আসতে অনুমতি লাগত। কাঁথি, তমলুককে নিজের জমিদারি ভাবত ওরা। এখন আমি খুশি হয়েছি। আর কোনও অনুমতি লাগে না।’’ ঘুরিয়ে অধিকারী পরিবারকে তোপ দেগেই ভাষণ শুরু করেন মমতা।
মমতা ভাষণ শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এগরার মঞ্চে উঠে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সকাল থেকেই স্পষ্ট ছিল, রবিবারই অমিতের সভামঞ্চে থাকতে চলেছেন শিশির অধিকারী। কথামতোই নির্দিষ্ট সময়ে মঞ্চে পৌঁছে যান শুভেন্দু-পিতা। অমিতের সভামঞ্চে বক্তৃতাও দেন।
এমনই সময় দক্ষিণ কাঁথি থেকে মমতা ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন ভাষণের। তিনি আত্মশুদ্ধির সুরে বললেন, ‘‘আমি গদ্দারদের চিনতে পারিনি। যাঁরা গদ্দারি করে পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কত করে নিয়েছেন জিজ্ঞাসা করুন। নরেন্দ্র মোদী, আপনার গদ্দাররা চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি নিজে ছবি এঁকে দিয়ে এসেছিলাম ওদের বাড়িতে। আর এখন ওই মির্জাফরের দল হাত ধরে বিজেপি-কে নিয়ে আসছে। এদের থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হতে পারে না। এদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে।’’
এগরার মঞ্চ থেকে পাল্টা তোপ দাগলেন শিশিরও। তিনি আগেও একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারকে ‘কুরুচিকর আক্রমণ’ করেছে তৃণমূল। যথেষ্ট সন্মানহানী করা হয়েছে তাঁদের। অমিত শাহের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার বললেন, ‘‘এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই, চিরকাল লড়াই করেছি, আগামী দিনেও লড়ব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy