Advertisement
E-Paper

Bengal Polls 2021: ভোটের প্রচারে স্বাস্থ্যবিধি ভুলেই পথে নেতা-কর্মীরা

ভোট-উৎসবের জেরে ফের লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার দায় কে নেবে— এই প্রশ্ন উঠছে।

সমীরণ দাস

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ০৫:৩১
য়ার-করি-না: তালদিতে তৃণমূলের সভা। মাস্ক উধাও। প্রায় প্রতিটি দলের সব সভাতেই কমবেশি এই দৃশ্য চোখে পড়ছে। ছবি তুলেছেন প্রসেনজিৎ সাহা।

য়ার-করি-না: তালদিতে তৃণমূলের সভা। মাস্ক উধাও। প্রায় প্রতিটি দলের সব সভাতেই কমবেশি এই দৃশ্য চোখে পড়ছে। ছবি তুলেছেন প্রসেনজিৎ সাহা।

রাজ্য জুড়েই ভোট প্রচার তুঙ্গে। মিটিং-মিছিলে কাতারে কাতারে ভিড় করছেন কর্মী-সমর্থকেরা। এর মাঝেই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। মাসখানেক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণ নেমে এসেছিল দশের নীচে। সেই সংখ্যাটাই এখন প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় সংক্রমণের হার ছিল সব থেকে বেশি। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এখনও শীর্ষে। তবে দৈনিক সংক্রমণে ইদানীং মাঝে মধ্যেই হাওড়াকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ক্রমশ বেড়ে চলা এই করোনা-গ্রাফে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। রাজ্যে প্রথম দফার ভোট শনিবার। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ওই দফায় প্রথম ভোট হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সে দিন জেলার চারটি কেন্দ্রে ভোট। তারপর ৬ এপ্রিল রাজ্যের তৃতীয় দফায় জেলার ষোলোটি কেন্দ্রে এবং ১০ এপ্রিল রাজ্যের চতুর্থ দফায় জেলার বাকি এগারোটি কেন্দ্রে ভোট হবে। ফলে এই মুহূর্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সব দলের ভোটের প্রচার চলছে জোরকদমে। নেতা-মন্ত্রীদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। জনসভাগুলিতে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। নেতা, মন্ত্রী, ভোটপ্রার্থীদের সঙ্গে মিছিলে হাঁটছেন বহু কর্মী-সমর্থক।

এ সবের মধ্যে কোথাও চোখে পড়ছে না করোনা-সচেতনতা। দূরত্ববিধি মানা তো দূরের কথা, মিছিল-জনসভায় অধিকাংশ মানুষই থাকছেন মাস্কহীন। নেতারাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়ছেন। বাড়িতে বাড়িতে ঘুরছেন। রাস্তাঘাটে মানুষের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। কর্মী-সমর্থকেরা ফুলের মালায় বরণ করে নিচ্ছেন প্রিয় নেতাকে। সবই হচ্ছে করোনা-বিধি ভেঙে। ভোট ঘোষণার সময়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোট প্রচারে লোকসমাগমের ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা কার্যত মানছে না কোনও দলই। ভোট প্রচারে যে এ সব স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব নয়, তা স্বীকারও করে নিচ্ছেন অনেক নেতা। অনেকে আবার মুখে নিয়ম মানার কথা বললেও, কাজে তা দেখা যাচ্ছে না।

গত বছর এই সময়ে লকডাউন চলছিল দেশজুড়ে। যার জেরে জেলার বহু গরিব মানুষ সমস্যায় পড়েন। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারান। ভোট-উৎসবের জেরে ফের লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার দায় কে নেবে— এই প্রশ্ন উঠছে।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জোর দিচ্ছেন সচেতনতায়। বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো কয়েকটি সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘শুধু ভোটপ্রচারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা আবার রেস্তোঁরায় লাইন দিচ্ছি, বিয়ে বাড়িতে ভিড় করছি। কোনও নিয়ম মানছি না। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মানুষ সতর্ক না হলে করোনাকে রোখা যাবে না।’’

West Bengal Assembly Election 2021 COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy