Advertisement
E-Paper

খিচুড়ি আমাদের সুখদুঃখের সাথী: প্রসেনজিৎ

নিজে হাতে রেঁধে বাড়ি বাড়ি রান্না পাঠানো তাঁর স্বভাব। মানুষ মুখিয়ে থাকে তাঁর হাতের রান্না খেতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২০ ১১:২৬
খিচুড়ি ক্যাম্পেনে সামিল জনপ্রিয় তারকারা। নিজস্ব চিত্র।

খিচুড়ি ক্যাম্পেনে সামিল জনপ্রিয় তারকারা। নিজস্ব চিত্র।

লকডাউনে ভিন্ন স্বাদের খিচুড়ি রান্না করলেন অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। এ খিচুড়িতে হাত মিলিয়েছেন তাঁর দাদা অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আর একে একে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মীর, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম থেকে ঊষা উত্থুপ, শান্তনু মিত্রের মতো মানুষ।

পল্লবী শুধু পাকা রাঁধুনি নন। তাঁর হাতের রান্না খায়নি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন মানুষ কম আছেন। নিজে হাতে রেঁধে বাড়ি বাড়ি রান্না পাঠানো তাঁর স্বভাব। মানুষ মুখিয়ে থাকে তাঁর হাতের রান্না খেতে।

‘‘পল্লবী এক দিন রান্না করছে, সেই সময় আমাদের কথা হচ্ছিল। আমরা ভাবছিলাম এখন লকডাউন, মানুষ ভাবছে বাড়িতে চাল-ডাল হলেই হবে। কারও বাড়িতে সেটুকুও নেই! সেই ছোটবেলা থেকে জানি চালে-ডালে মানেই খিচুড়ি, সে পুজোই হোক আর বৃষ্টি পড়ুক।’’ আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন গৃহবন্দি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পল্লবীকে বলেছিলেন ‘দাদা’ প্রসেনজিৎ, এই নিয়ে কিছু ভাবতে। আর সেই ভাবনা থেকেই শুরু ‘খিচুড়ি’ নিয়ে ক্যাম্পেন। কী বলছেন পরিচালক নিজে?

‘‘আমার মনে হয়েছিল এই লকডাউনে খিচুড়ি এমন একটা খাবার যা অনেক মানুষের পেট ভরাতে পারবে। যাঁকেই আমি বলেছি এই ক্যাম্পেনের কথা তিনিই এগিয়ে এসেছেন, বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছেন।’’ বললেন পল্লবী। আর এই ‘খিচুড়ি’ থেকে ইতিমধ্যেই তিন লাখ টাকা উঠেছে। পল্লবী জানালেন সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম, সিনে অ্যাফেয়ার্স আর ফেডারেশনের কাছে।

আজ থেকে খিচুড়ি শুধু বাড়ির মেনুতেই নয়, অনলাইনেও দেখা যাবে। সিঙ্গাপুর থেকে খিচুড়ি শুট করে পাঠিয়েছেন ঋতুপর্ণা, ‘‘আমি বরাবর খাবার নষ্ট করার বিরোধী। ছেলেমেয়েদেরও তাই শেখাই। আর খিচুড়ি এমন জিনিস চালে-ডালে বসিয়ে সবাই মিলে খাওয়া যায়। আমাদের দেশের অনাহারের ছবি দেখতে দেখতে মনে হচ্ছে, এই চাল-ডালটুকু কত মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।’’ খিচুড়ির জন্য কাজ করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের যেমন মনে হয়েছে তা সুখ-দুঃখের সঙ্গী, তেমনই পল্লবী ভেবেছেন পুজোর ভোগ খিচুড়ি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র।

সম্পূর্ণ অন্য রাস্তায় হেঁটেছেন রূপম ইসলাম তাঁর নিজস্ব মেজাজে। তাঁর মতে, খিচুড়ি হল না পোলাও, না ভাত। প্রসাদ থেকে ত্রাণ— সর্বত্র ব্যবহার করা হয় খিচুড়ি।

আরও পড়ুন: অনেক ছবি হারিয়ে যায়...

‘‘পল্লবীদির ভাবনাটাই খুব ভাল লেগেছিল। করোনা আর আমপানের বাংলায় খিচুড়ির গুরুত্ব যেন বড় করে ধরা দিয়েছে’’, মনে করছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। এখনও প্রতি শনিবার তিনি খিচুড়ি খেয়েই কাটান।

শনিবারের দুপুরে গনগনে আঁচে চালে-ডালে মিশিয়ে এক বার পাত পেড়ে না হয় বসেই যান। আপনার অনলাইনে খিচুড়ি খাওয়া, থুরি, দেখার ইচ্ছা অনেক মানুষের পেটের জ্বালা মেটাতে পারে, এমন অভিনব ভাবনাই ভেবেছেন পল্লবী।

আরও পড়ুন: চুটকিকে ছেড়ে ইন্দুমতীকে বিয়ে! ছোটা ভীমের কাণ্ডে রাগে ফেটে পড়ল নেট দুনিয়া

Prasenjit Chatterjee Celebrity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy