Advertisement
E-Paper

ব্যক্তির মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে সওয়াল করবে ‘অপবিত্র’

কোথায় গিয়ে ধর্ম শেষ হয়, বিজ্ঞানের শুরু? বা ঠিক এর উল্টোটা?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:০৩
‘অপবিত্র’র পোস্টার।

‘অপবিত্র’র পোস্টার।

আপনি কি ধর্ম বিশ্বাসী? নাকি বিজ্ঞানের যুক্তির ধারে ধর্মকে নস্যাত্ করে দেন অনায়াসেই? কোন পথের পথিক আপনি? কখনও প্রশ্ন করেছেন আমার আমিকে?

১৯২৬-এ আমেরিকার হিলস্‌বোরোতে এক স্কুল শিক্ষককে ঘিরে যেন এ প্রশ্নটাই ঘনিয়ে উঠেছিল। তিনি ক্লাস নাইন-টেনের পড়ুয়াদের পড়িয়েছিলেন চার্লস ডারউইনের ‘অরিজিনাল স্পিসিস’। সেই অপরাধে... হ্যাঁ, এই ঘটনাকে সে সময় অপরাধ বলেই বিবেচনা করত চার্চ। কারণ বাইবেলের ভিন্ন মত নাকি রয়েছে ‘অরিজিন অব স্পিসিস’-এ। ফলস্বরূপ চার্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয় সেই শিক্ষককে।

তুমুল আলোড়ন শুরু হয় সমাজে। শুরু হয় আইনি লড়াই। ধর্ম অর্থাত্ চার্চের হয়ে লড়াইয়ে নামেন এক বিখ্যাত আইনজীবী। চার্চের পক্ষে সওয়াল করায় তাঁকে নিয়ে শহরে শুরু হয় উত্সব। প্রতিপক্ষ অর্থাত্ বিজ্ঞানের তরফে নামেন তাঁরই বন্ধু। তার পর?...

তার পরের ঘটনা যদি চোখের সামনে প্রত্যক্ষ করতে চান তা হলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর বা সন্ধেয় কয়েক ঘণ্টার জন্য আপনার ঠিকানা হোক অকাদেমী অব ফাইন আর্টস। কারণ সেখানেই সে দিন অশোকনগর নাট্যআনন প্রযোজিত ‘অপবিত্র’ দেখবেন দর্শক। যার আধার ১৯২৬-এর সেই ঘটনা।

আরও পড়ুন, ঋতুদার বকুনিগুলোও মিস করি: সুদীপ্তা

অশোকনগর নাট্যআননের তরফে অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘২০১৮-তে এসেও দেশ জুড়ে সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। স্কুল শিক্ষককে রাষ্ট্রবিরোধী বলা হচ্ছে। আমরা তো আবার পিছন দিকে হাঁটছি। ১৯২৬-এর ঘটনার পর জেরোম লরেন্স লিখেছিলেন ‘ইনহেরিট দ্য উইন্ড’। সেটা থেকেই চন্দন সেনের ভাবানুবাদ আমাদের নতুন নাটক ‘অপবিত্র’। ঘটনাটা বেস করেই নাটক। কনটেকস্ট চেঞ্জ হয়নি। কোথাও পক্ষপাতিত্ব নেই। ধর্ম, বিজ্ঞান দুটো দিকই রাখা হয়েছে। দর্শক রিলেট করতে পারবেন বলেই মনে হয়।’’


মহড়া চলছে...।

‘অপবিত্র’ নির্দেশনার দায়িত্ব চন্দনেরই। এক সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই নাটকের মূল বিষয় ব্যক্তির মত প্রকাশের অধিকার। ধর্ম যে কারও ব্যক্তিগত অধিকার। কিন্তু রাস্তায় বেরলে সংবিধানই শেষ কথা। সংবিধানের ওপর কারও মতামত চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করছি আমরা।’’

এই নাটকে বিজ্ঞানের উকিল হেনরি ড্রামন্ডের চরিত্রে রয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। ধর্মের উকিল ম্যাথু ব্রেডির ভূমিকায় রয়েছেন অসিত বসু। রেভারেন্ড ব্রাউন নামে এক পাদ্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে। এক পড়ুয়ার চরিত্রে রয়েছেন ঋতব্রত।

কোথায় গিয়ে ধর্ম শেষ হয়, বিজ্ঞানের শুরু? বা ঠিক এর উল্টোটা? এর উত্তর কি ‘অপবিত্র’ দেবে? এ বার বিচারের ভার আপনাদের...।

Drama Celebrities Tollywood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy