‘আমি সায়রা বানু’-তে রাজকুমার রাও।
কপালে ছোট্ট টিপ, ঠৌঁটে হাল্কা লিপস্টিক, কানে ও গলায় কিছু বাহারি গয়না আর পরনে কী কোম্পানির শাড়ি, তা জানা নেই। কিন্তু দিব্যি দেখাচ্ছে তাঁকে। তিনি অন্য কেউ নন। তিনি হলেন বি-টাউনের নামজাদা অভিনেতা রাজকুমার রাও।
আসলে ‘আমি সায়রা বানু’ নামে একটি বাংলা ছবিতে রাজকুমার রাওয়ের লুকটা এমনই। অবাক হলেন? কিন্তু এটাই সত্যি। ছবিটিতে এক জন রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।
আর রাজকুমারের এই লুক দেখে মজেছেন বলিউডের ডাকসাইটে পরিচালক অনুরাগ কশ্যপ। তাঁর মনের এমনই হাল যে, তিনি রাজকুমারকে তাঁর সঙ্গে ডেট-এ যাওয়ার প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেছেন। নিজের টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই মানুষটা সব কিছু করতে পারেন। রাজকুমার রাও, তোমায় খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, আমি কী তোমার সঙ্গে ড্রিঙ্ক করতে যেতে পারি?’’
অনুরাগ কশ্যপ পরিচালিত ছবি ‘গ্যাংস অফ ওয়াশিপুর টু’তে রাজকুমার কাজ করেছেন। আর তখন থেকেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব বেড়েছে। এবং একে অপরকে ভীষণ শ্রদ্ধাও করেন। অনুরাগ কশ্যপ জানিয়েছেন, রাজকুমার বলিউডের এমন এক জন অভিনেতা, যিনি যে কোনও চরিত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পিছপা হন না। তিনি শোবিজের খ্যাতির থেকেও মনের খোরাক মেটানোতেই বেশি বিশ্বাসী।
রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘আমি সায়রা বানু’ ছবিটি একটি ছেলের গল্পকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে। যে নিজেকে মেয়ে বলে মনে করে। আর এই কথা জানাজানি হওয়ার পর, তার স্থান হয় হিজড়ে সম্প্রদায়ে। নতুন পরিচয়ে পরিচিত হয় সে। তার নাম রাখা হয় সায়রা বানু। এই রকম এক কঠিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজকুমার।
নিজের কাজের ব্যাপারে বড়ই নিষ্ঠাবান এই অভিনেতা। বাংলা ছবিতে কাজ করার জন্য দু’মাস ধরে শিখেছেন বাংলা ভাষা। চরিত্রটি ভালভাবে রুপোলি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে দিনের পর দিন কলকাতার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে মিশেছেন। তাঁদের কাছ থেকে জেনেছেন দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও কী ভাবে তাঁরা আনন্দে মেতে ওঠেন। অর্থাভাবে এই ছবিটির মুক্তি আটকে রয়েছে। রাজকুমার আশাবাদী খুব শিগগির ‘আমি সায়রা বানু’ মুক্তি পাবে। অন্য দিকে, অনুরাগ কশ্যপ আশাবাদী রাজকুমারও তাঁর প্রস্তাবটি মঞ্জুর করবেন।
আরও পড়ুন
দুর্গোৎসবের নতুন স্বাদ আনন্দ উৎসবে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy