ছোট্টখাট্টো, ভারী মিষ্টি মেয়ে। অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত। কখন চরিত্রের জন্য অনুশীলন করে কে জানে! কিন্তু প্রতিটি চরিত্রে এক্কেবারে নিখুঁত। সেটা ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ই হোক কিংবা কর্ণ জোহরের ‘রকি ঔর রানি কি প্রেম কহানি’। যদিও খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আলিয়ার ‘গঙ্গুবাই’ নানা কারণে আমার এখনও দেখা হয়নি। কিন্তু সকলের মুখে ওর অভিনয়ের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। আমার চেনাজানা যাঁরাই দেখেছেন, তাঁরাই বলছেন, ‘‘দেখতে দেখতে মেয়েটা বড় হয়ে গেল! অত ভারী একটা চরিত্র কত অনায়াসে বহন করল!’’
শুনে হেসেছি। ফিরে গিয়েছি ওর সঙ্গে শ্যুটের সময়গুলোতে। এখনও আমাদের শ্যুট বাকি। আবার যাব মুম্বই। আবার দেখব, একটা চরিত্রে কী অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে ছোট্ট মেয়েটা। ছায়াছবি নিয়ে ওর অসম্ভব মেধা। সব কিছু চুপচাপ ভীষণ খুঁটিয়ে লক্ষ্য করে। সেই দেখা ছড়িয়ে দেয় ওর অভিনয়ে। অভিনয় ঘরানার মেয়ে। মাথার উপরে বাবা মহেশ ভট্ট, দিদি পূজা ভট্ট, মা সোনি রাজদান। বিশেষ করে ওর মা সোনির কথা বলব। ওঁর মতো দক্ষ অভিনেত্রী আমি খুব কম দেখেছি। তাঁর মেয়ে রক্তে অভিনয় নিয়ে জন্মাবে, স্বাভাবিক। তার মানে এই নয়, ও ভট্ট পরিবারের মেয়ে বলেই ওকে ঠেলে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব প্রতিভা না থাকলে কাউকে ঠেলে উপরে তোলা যায় না। স্বজনপোষণ শব্দটা আর কতদিন ব্যবহৃত হবে আলিয়ার নামের সঙ্গে? কর্ণকে না হয় ছেড়েই দিলাম। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীও কি ছবিতে আলিয়াকে নিয়ে স্বজনপোষণ করলেন?