এত দিন পর্যন্ত রুপোলি পর্দায় ভালমতোই ধরা দিয়েছে হ্যারি পটার আর তার জগৎ। ধরা দিয়েছে সেই জগতের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা যাদু-যন্ত্রও। সাকুল্যে আটখানা ছবি পার হয়ে তবে থেমেছে হ্যারির কারনামা। কিন্তু হ্যারির ভক্তরা? তাদের মুখ চেয়ে চুপ করে থাকা কি যায়? তাই এ বার পালা প্রিক্যুয়েলের। সেই সূত্রেই রুপোলি পর্দায় ধরা দিতে চলেছে হ্যারির একান্ত ব্যক্তিগত এক সম্পত্তি।
আসলে গল্প শেষ; অথচ শেষ নয়— এমন একটা ভাবনা থেকেই জে কে রাওলিং তাঁর হ্যারি পটার সিরিজের লেজুড় হিসেবে লিখেছিলেন ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম’ আর ‘কুইডিচ থ্রু দি এজেস’ নামের দুটি বই। প্রথম বইটির লেখক হিসেবে নাম ছিল নিউট স্ক্যামান্ডারের। স্ক্যামান্ডার একজন ‘ম্যাজিজুওলজিস্ট’। তাঁর কারবার জাদু-জগতের আজব প্রাণিদের নিয়ে। পঁচাত্তরটি আজগুবি প্রাণির বর্ণনা নিয়ে তৈরি এই বইটার শিকড় কিন্তু বেশ সিরিয়াস জায়গায়। রাওলিংয়ের আগে দিকপাল সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেস লিখেছিলেন ‘বুক অফ ইম্যাজিনারি বিইংস’ নামের একটা কোষগ্রন্থ। রাওলিংয়ের বইটা অবশ্য মজার। হ্যারিদের ম্যাজিক-স্কুল হগওয়ার্টসে সেটা নাকি পাঠ্য। পটার-পাঠকদের কৌতূহল মেটাতে এই বই তুলে ধরেছিল সিরিজের সাতটা বইয়ে বর্ণিত আজব জীবজন্তুর ঠিকুজি। মজা করে লিখে ফেলা এই বইটাই এখন হ্যারি পটার ফিল্ম সিরিজের প্রিক্যুয়েল। হ্যারি পটার ফিলম সিরিজের নয় নম্বর ছবিটি তৈরি হচ্ছে এই বইটিকে ঘিরেই।
এই ছবির মূল নায়ক নিউট স্ক্যামান্ডার নামের চরিত্রটিই। জাদু-জীববিদ্যার গবেষক স্ক্যামান্ডারের আজব প্রাণিজগতে অ্যাডভেঞ্চার এই ছবির বিষয়বস্তু। আর এর পটভূমি হ্যারির জন্মের সত্তর বছর আগে। রাওলিং স্বয়ং লিখছেন এ ছবির চিত্রনাট্য। হ্যারি-সিরিজের চারটি ছবির পরিচালক ডেভিড ইয়েটস এই ছবির পরিচালক। প্রযোজক অবশ্যই ডেভিড হেম্যান। সিরিজের আটটি ছবির প্রযোজনা তাঁরই। এই ছবিতে নিউট স্ক্যামান্ডারের ভূমিকায় দেখা যাবে অস্কারজয়ী এডি রেডমেয়েনকে। সম্প্রতি বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের বায়োপিক ‘দ্য থিওরি অফ এভরিথিং-এ হকিংয়ের ভূমিকায় নজর কেড়েছেন এডি। কথা আছে, ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম’ রিলিজ করবে ২০১৬-এর নভেম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy