‘ছপক’-এ দীপিকা
সোমবার ইন্টারনেটে ‘ছপক’-এর লুক প্রকাশ পেতেই হইচই পড়ে গিয়েছে দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে। মূলত তাঁর অ্যাসিডে আক্রান্ত লুক নিয়ে। নিজের চেহারায় এ রকম রূপান্তর করার সাহস এর আগে বড় পর্দায় কোনও নায়িকাই দেখাননি। ডি-গ্ল্যাম লুক অবশ্য আলিয়া ভট্ট, অনুষ্কা শর্মারা করে দেখিয়েছেন। কিন্তু দীপিকার অমন সুন্দর চোখ, মুখের গড়ন, টানাটানা ভুরুর প্রায় কিছুই নেই ‘ছপক’-এর লুকে। কিন্তু ছবির প্রতি প্রবল বিশ্বাস থাকলে প্রতিভাধর অভিনেতারা কী করতে পারেন, তারই একটা উদাহরণ তৈরি করলেন দীপিকা।
সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে মেঘনা গুলজ়ারের ছবির শুটিং। দীপিকার প্রস্থেটিক মেকআপ করছেন ক্লোভার উটন। যিনি এর আগে ‘সঞ্জু’তে রণবীর কপূরের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। ‘পরি’তে অনুষ্কা শর্মার মেকআপও ক্লোভার করেছিলেন। দীপিকার মেকআপে ক্লোভারকে সাহায্য করছেন মুম্বইয়ের শ্রীকান্ত। চিত্রনাট্য পড়ার পরেই মেঘনার কাছ থেকে দীপিকা জানতে চেয়েছিলেন, কী করে ছবিতে নিজের চরিত্রকে তিনি আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেন। এক জন অ্যাসিড ভিক্টিমের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প পর্দায় তুলে ধরা সহজ কথা নয়। কোনও রেফারেন্স পয়েন্টও নেই দীপিকার কাছে। মেঘনা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সাধারণের সঙ্গে বেশি করে মিশতে, তাঁদের ঘিরে থাকতে। ভুলে যেতে, যে তিনি স্টার!
মেঘনার কথা মতোই চলছেন দীপিকা। মেকআপের জন্য আলাদা করে ভ্যান নেননি তিনি। সেটেই একটি ঘেরা জায়গার ভিতরে চলছে অভিনেত্রীর মেকআপ। প্রস্থেটিকের জন্য ছ’ঘণ্টা করে সময় লাগছে। ফলে যখন শট থাকছে না, তখনও মেকআপ তুলতে পারছেন না নায়িকা। খাওয়াদাওয়াও আলাদা কিছু না। বাকিরা যেমন খাচ্ছেন, তিনিও তাই।
তবে দীপিকার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম লক্ষ্মী আগরওয়াল নিজে। যাঁর জীবন অবলম্বনেই ‘ছপক’ লিখেছেন মেঘনা। প্রায় রোজই সেটে উপস্থিত থাকবেন লক্ষ্মী। যেখানে যেমন প্রয়োজন সাহায্য করছেন টিমকে।
দীপিকার পরিশ্রমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলেই। তার মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়েছে কঙ্গনা রানাউতের বোন রঙ্গোলির একটি টুইট। রঙ্গোলি লিখেছেন, ‘আমি নিজে অ্যাসিড অ্যাটাকে আক্রান্ত। এই ছবির সবচেয়ে বড় চিয়ারলিডার আমি...’
এখন অপেক্ষা শুধু ছবির মুক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy