প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। — ফাইল চিত্র।
প্রয়াত সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। সূত্রের খবর, বিগত কয়েক দিন বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ সারদা মঠের সদর দফতরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ থেকে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার দেহ দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে রাখা থাকবে। সেখানেই ভক্তেরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন বলে সারদা মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাঁর ভক্তরা প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তার পরই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে সারদা মঠ সূত্রে খবর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার সমাজসেবামূলক কাজের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। মোদী আরও বলেন, মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণার মাতাজিকে স্মরণ করা হবে।’’
সারদা মঠের পঞ্চম সভাপতি ছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা। ১৯২৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর মধ্যে ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরানুরাগ ছিল প্রবল। যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও। বেলুড় মঠের সপ্তম সভাপতি স্বামী শঙ্করানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা বাগবাজার নিবেদিতা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে সারদা মঠের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ২০২২ সালে এই মঠের চতুর্থ সভাপতি প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসানের পর, ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই পদে বসেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তাঁর আগে সঙ্ঘের সহ-সভাপতি পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সারা জীবন সমাজ ও মানব কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্ঘে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy