From being a top model to a begger- story of geetanjali nagpal dgtl
বিনোদন
র্যাম্প থেকে রাস্তায় ঠাঁই, মনে আছে সেই গীতাঞ্জলিকে?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা ০৭ জুন ২০১৯ ১৩:৪২
Advertisement
১ / ১০
ইনি গীতাঞ্জলি নাগপাল। ৯০-এর দশকের প্রথম সারির মডেলদের মধ্যে অন্যতম। কেরিয়ারের সুবর্ণ সময়ে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
২ / ১০
সে সময় গীতাঞ্জলির রূপের চর্চা চলত বলিউডের অলি-গলিতে। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তুলনা করা হত। নামজাদা ডিজাইনার থেকে ফোটোগ্রাফার— সবার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু আজ কোথায় তিনি?
Advertisement
Advertisement
৩ / ১০
গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যে চোখ ধাঁধিয়ে গেলেও তার ভিতরের অন্ধকার চোখে পড়ে না সহজে। সেই অন্ধকারেই হারিয়ে যাওয়া এক জীবনের উদাহরণ গীতাঞ্জলি।
৪ / ১০
দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে পাশ করা গীতাঞ্জলি মডেলিং শুরু করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান। সুস্মিতা সেনের মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গে র্যাম্পে হাঁটেন তিনি। সাফল্যের সঙ্গে জীবনে নেমে আসে ড্রাগের থাবা।
Advertisement
৫ / ১০
সে সময় নিজের কাজের থেকেও নেশার জন্যই খবরের শিরোনামে থাকতেন তিনি। বাড়ির অমতে বিয়ে করেন রবার্ট নামের এক জার্মান নাগরিককে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর এক ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
৬ / ১০
সেই সম্পর্কে থাকাকালীনই গীতাঞ্জলি মডেলিং থেকে দূরে সরে যান। বেশ কয়েকবছর পর ২০০৭ সালে এক ফোটোগ্রাফার তাঁকে দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখেন। দিল্লির মহিলা কমিশন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান এবং তাঁর দেখভালের দায়িত্ব নেন।
৭ / ১০
প্রাথমিক চিকিৎসার পর গীতাঞ্জলির ঠাঁই হয় ‘বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে।’ তিনি বলেন, ‘‘খাবারের টাকা রোজগারের জন্য ভিক্ষা থেকে দেহব্যবসা-সবই করেছি।’’ ২০১৩-এ গীতাঞ্জলির মৃত্যু হয়। জাঁকজমকপূর্ণ জীবন থেকে অবহেলায় মৃত্যু— পুরোটাই যেন সিনেমার মতো ছিল তাঁর বাস্তব।
৮ / ১০
গীতাঞ্জলি লাইম লাইট থেকে সরে গেলেও বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। ২০০৮-এ মধুর ভান্ডারকরের ‘ফ্যাশন’ সিনেমাটির একটি চরিত্র গীতাঞ্জলির জীবনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল। দিল্লি মহিলা কমিশন এই সিনেমাটি বন্ধের দাবি নিয়ে কোর্টে গেলেও কোনও ফল মেলেনি।
৯ / ১০
পরবর্তী সময়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত স্বীকার করেন যে ‘ফ্যাশন’-এ তাঁর চরিত্রটি মিস নাগপালের উপর ভিত্তি করেই হয়েছিল। এই চরিত্রে অভিনয় তাঁকে পরিচালকদের নজরে নিয়ে আসে এবং সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিতে সাহায্য করে।
১০ / ১০
সম্প্রতি সাভি সাধু নামক এক অভিনেতাকে পেটের দায়ে ওয়াচ ম্যানের কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। ফলে গীতাঞ্জলির নির্মম মৃত্যুর ঘটনা আবারও যেন মনে করিয়ে দেয় গ্ল্যামারের আড়ালে রয়েছে নির্মম এক অন্ধকার। কখনও কখনও পরভিন ববির মৃত্যুর সঙ্গেও তুলনা করা হয় গীতাঞ্জলির।