‘ইন্দু সরকার’ ছবির একটি দৃশ্যে কীর্তি কুলহারী। ছবি: অভিনেত্রীর টুইটার পেজের সৌজন্যে।
ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই শিরোনামে মধুর ভাণ্ডারকরের ছবি ‘ইন্দু সরকার’। জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী সরকারের ভূমিকার ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে বলে প্রথম থেকেই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে ছবির পরিচালক-সহ গোটা ইউনিটকে। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানোর জেরে পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে হয়েছে। পরিচালকের দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুখে কালি লাগিয়ে পোস্টারে জুতোর মালা পড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
বিতর্ক শুধু এই পর্যন্তই নয়। বোমা ফাটিয়েছেন প্রিয়া সিংহ পল নামে গুরুগ্রামের এক মহিলা। নিজেকে সঞ্জয় গাঁধীর মেয়ে বলে দাবি করে তিনি মধুরের ছবি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। প্রিয়ার দাবি, তাঁর বাবাকে যাতে খারাপ ভাবে দেখানো না হয়, তার জন্য আগে তাঁকে এই ছবিটি দেখানো হোক। এ নিয়ে হাইকোর্ট হয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য, ছবির মুক্তি আটকানো।
আরও পড়ুন, ‘ইন্দু সরকার প্রেমের কাহিনি’
গত ২৪ জুলাই বম্বে হাইকোর্ট রায়ে জানায়, অভিযোগকারিণী এখনও পর্যন্ত আদালতে এমন কোনও মামলা করেননি, যার মাধ্যমে আদালত এই ছবির মুক্তির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এ ছাড়া সঞ্জয় গাঁধীর আইনত স্বীকৃত কোনও বংশধরও নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলেননি। তাই ছবির মুক্তি আটকানোর কোনও কারণ নেই। সুপ্রিম কোর্টেও অভিযোগকারিণীর আবেদন কার্যত ধোপে টেকেনি। কারণ, এই মামলার জন্য সর্বোচ্চ আদালত আর কোনও শুনানির দিন ধার্য করেনি। তবে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রিয়া সিংহ পল।
যদিও এ সবের মধ্যেই ছবির অভিনেত্রী কীর্তি কুলহারি এবং পরিচালকের দাবি, ছবিটি নিছক একটি প্রেমের গল্প। প্রেমের কাহিনির মাঝেই সত্তরের দশকে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থার সময়ে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের টুকরো টুকরো ছবি ফুটে উঠেছে ‘ইন্দু সরকার’-এ। কংগ্রেসের অস্বস্তি কাটেনি। তবে আইনি বাধা কেটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে ১২টি দৃশ্য কেটে আগামিকাল মধুর ভাণ্ডারকরের ‘ইন্দু সরকার’ মুক্তি পাওয়ার কথা।
Time to unveil the story of a woman who stands against the system for justice on 28th July #InduSarkar https://t.co/H5u9MATtCz
— Madhur Bhandarkar (@imbhandarkar) July 26, 2017