Advertisement
১০ মে ২০২৪

মুম্বইয়ের চেয়ে বাংলায় বেশি স্ট্রাগল করেছি

নতুন ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে বললেন বিদিতা বাগ

ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

সায়নী ঘটক
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৪১
Share: Save:

নতুন ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে বললেন বিদিতা বাগ

প্র: অনেক দিন পরে কলকাতায় এলেন নিজের ছবির প্রচারে...

উ: সেপ্টেম্বরে একবার এসেছিলাম মাসদুয়েকের জন্য। অনেক দিন পরে বড় পর্দায় আমার ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাই একটা আলাদাই আনন্দ হচ্ছে। ‘ফৌজি কলিং’ ঠিক ওয়র ফিল্ম নয়, তবে যুদ্ধ নিয়ে ছবি। এই উগ্র জাতীয়তাবাদের যুগে আমরা মুখে দেশভক্তির কথা বললেও আসল দেশভক্তি কী, সেটা একটা আর্মি পরিবারের জীবনযাপনেই ধরা দেয়। উরি অ্যাটাকের পরে ছবি হল, মানুষ অনেক কথা বলল। যুদ্ধের পরে আমরা পাকিস্তানকে গালমন্দ করি, তার পরে সব ভুলেও যাই। কিন্তু যে পরিবারগুলো তাদের আপনজন হারাল, তাদের জার্নি তুলে ধরা হয়েছে আমাদের ছবিতে। শরমন জোশীর স্ত্রীর চরিত্রে রয়েছি আমি।

প্র: ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

উ: ওঁর মধ্যে বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্স আছে এখনও। একটা শট দেওয়ার আগে অনেক প্রশ্ন করেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেন। সকলে শরমনের কমেডির ভক্ত, তবে সিরিয়াস চরিত্রেও ওঁর অভিনয় দেখার মতো।

প্র: ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এ আপনার বোল্ড চরিত্র নিয়ে চর্চা হয়েছিল সে সময়ে। টাইপকাস্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল না?

উ: এটা ঠিক যে, বোল্ড চরিত্র বলে একটু বেশি হিট হয়েছিল। তবে আমি এখনও পর্যন্ত যে ক’টা চরিত্র করেছি, সব ক’টাই আলাদা ধরনের। গৌতম হালদারের ‘বিজলীবালার মুক্তি’তে একজন গৃহবধূ, শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘ইচ্ছে’তে কলেজ গার্ল থেকে শুরু করে সম্প্রতি ‘দ্য শোলে গার্ল’ ওটিটি ফিল্মে স্টান্টউওম্যানের বায়োপিকে অভিনয় করলাম। এখন কোথাও প্রোফাইল নিয়ে যেতে হয় না আমায়, অনেক সময় অডিশন না দিয়েও কাজের অফার পেয়ে যাই।

প্র: আপনার বেস এখন মুম্বইয়ে হলেও ফিল্ম কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বাংলা ছবি দিয়ে। সেখানে ফিরবেন না?

উ: আমি কিন্তু মুম্বই শিফট করার সময়েই প্রথম বাংলা ছবিটা পেয়েছিলাম। তবে এখন কোনও অজানা কারণে আমাকে বাংলা ছবিতে ডাকা হয় না। তার জন্য আমার ক্ষোভ, দুঃখ, রাগ— সব রয়েছে। শেষ একটা শর্ট ফিল্ম করেছিলাম, ২০১৯ সালে।

প্র: আপনি নিজে থেকে কাজ চেয়েছেন?

উ: আমি সকলকে শো-রিল কুরিয়ার করে পাঠাতাম। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। যেখানে কাজ দেবে, সেখানেই তো যাব। যখন মডেলিং করতাম, আমাকে ‘ওভারইউজ়ড’ তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতায়। সব ব্যানারে, সব ক্যাম্পেনে আমার মুখ, তাই। ‘তুমি তো খুব রোগা, মডেলের মতো চেহারা, তুমি কী করে অন্য রকম রোল করবে?’ এই ধরনের কথা শুনতে হত। মুম্বইয়ে আমাকে এতটা স্ট্রাগল করতে হয়নি কাজ পাওয়ার জন্য, যেটা বাংলায় হয়েছে।

প্র: শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘ইচ্ছে’তে আপনার কাজ প্রশংসিত হয়েছিল। ওঁদের সঙ্গে ফের কাজের কথা হয়নি?

উ: শিবুদা মাঝে মাঝে মুম্বই এলে দেখা হয়। শিবুদার কাছেই আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি। কিন্তু কাজের কথা আর সে ভাবে হয়নি। তবে যাঁরা একটু অন্য ধরনের কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য ওয়েব প্ল্যাটফর্ম খুব ভাল সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। এখন ওয়েবের কাজই করছি পরপর।

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে জমি শক্ত করতে আপনাকে লড়াই করতে হয়েছে। নিজেকে উৎসাহিত করেন কী ভাবে?

উ: স্ট্রাগল এখনও করতে হয়। আমি তো একা থাকি। লকডাউনে এত নেতিবাচক খবর ছিল, সে সব থেকে নিজেকে দূরে না রাখলে পাগল হয়ে যেতাম। ভাল রান্না করে, গানবাজনা করে নিজেকে ভাল রেখেছি।

প্র: আর প্রেম?

উ: আমি এখনও সিঙ্গল। বিয়ের জন্য ছেলে খুঁজছি (হাসি)!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE