লেডি গাগা।
এক সময় খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছতে চেয়েছিলেন। আর আজ সেই খ্যাতিই তাঁর কাছে বিষময়। সেই খ্যাতির জন্যই ‘স্বাভাবিক’ জীবনে তিনি এখন প্রায় ‘একঘরে’। তিনি, পপ গায়িকা লেডি গাগা।
শিল্পের জন্য শিল্পীর প্রয়োজন মানুষের সংসর্গ। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এমন কথাই বলছিলেন গাগা। তবে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর আক্ষেপ, সেই সুযোগ আর পান কোথায় তিনি! ‘‘মানুষের গান বাঁধতে হলে মানুষের সঙ্গেই তো কথা বলতে হবে। বুঝতে হবে তাঁদের। কিন্তু এখন আর সেই রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় না। যদি কোনও বার-এ বা দোকানে গিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চাই, আমাকে দেখলেই সবাই লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। নয়তো বা আমার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি। ফলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরিসরই তৈরি হয় না।’’
খ্যাতির আলো এক সময়ে যে সেলিব্রিটিদের গলার কাঁটা হয়ে যায় তা মেনে নিয়েছেন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বই। যেমন, জর্জ ক্লুনি। হলিউডের এই জনপ্রিয় নায়ক একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি খুব একা... রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারি না। বার পাঁচেক ঘুম ভেঙে যায় রাতে। কখনও সখনও মাদক পর্যন্ত নিতে হয়।’’
শুধু জর্জ ক্লুনি নন, একই সুর শোনা গিয়েছে হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের কথাতেও। ‘‘আমি বড্ড একা।’’ তাঁর আক্ষেপ, অভিনেত্রী বাদে তিনিও যে এক জন মেয়ে, আর পাঁচটা মেয়ের মতো তাঁরও যে সাধ আহ্লাদ আছে — তা মনে রাখে না কেউ। ব্র্যাড পিট, রবার্ট প্যাটিনসন কিংবা মেগান ফক্স— প্রত্যেকের কথাতেই যেন সেই একই আক্ষেপ।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘নায়ক’ ছবিতে বরাবরই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন উত্তমকুমার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পরেই যেন তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে সেই একই নিঃসঙ্গতার কথা। ঠিক যেমন লেডি গাগা থেকে জর্জ ক্লুনি, সবারই যেন ভিতরে জমে রয়েছে অনেক কথা। কিন্তু বলতে পারার লোক কোথায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy