Advertisement
০৮ মে ২০২৪

মিস অরোরা আপনি কি ভার্জিন

‘পিঙ্ক’য়ে অমিতাভ বচ্চনের এই প্রশ্ন এখন গোটা দেশের। ফিল্মের ট্রেলরে দেওয়া উত্তর ইউটিউবে সত্তর লাখ এরই মধ্যে দেখে ফেলেছেন। কিন্তু তার বাইরে? বলিউডের উঠতি নায়িকা তাপসী পান্নু একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন সায়ন আচার্য-কে। ওই জবাবটাও...মিস অরোরা, আপনি কি ভার্জিন? (জোরে হেসে) আমি জানতাম, এই প্রশ্নটাই আপনি করবেন। যবে থেকে ‘পিঙ্ক’য়ের ট্রেলর রিলিজ হয়েছে, সে দিন থেকে সবাই এই একই প্রশ্ন করছে। বন্ধু হোক বা কোনও অপরিচিত, সকলেই জানতে চান মিস অরোরা ভার্জিন কি না।

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১৬
Share: Save:

মিস অরোরা, আপনি কি ভার্জিন?

(জোরে হেসে) আমি জানতাম, এই প্রশ্নটাই আপনি করবেন। যবে থেকে ‘পিঙ্ক’য়ের ট্রেলর রিলিজ হয়েছে, সে দিন থেকে সবাই এই একই প্রশ্ন করছে। বন্ধু হোক বা কোনও অপরিচিত, সকলেই জানতে চান মিস অরোরা ভার্জিন কি না।

তো, আপনার উত্তরটা কী? হ্যাঁ বা না-য়ে জবাব দিন। মাথা নাড়বেন না...

আপনি তো অমিতাভ বচ্চনের মতো প্রশ্ন করছেন দেখছি। (আবার হেসে) আমার উত্তরটা তো ট্রেলরেই আছে। না। তাতে কিছু লোক চমকাচ্ছেন, কিছু লোক ভুরু কোঁচকাচ্ছেন। আর কিছু লোক ভাবছেন, মেয়েটা কী পাকা! কী আর করা যাবে, আমি তো এরকমই।

(একটু থেমে) আসলে, আমি সত্যিই ভাবিনি যে ট্রেলরের একটা ডায়লগ এত হিট হবে। এ তো দেখছি, ছবি রিলিজের আগেই ডায়লগ হিট। ইতিমধ্যেই বন্ধুরা বলছে, ‘ছবিটা তো ভীষণ বোল্ড’... শুধু দেখলাম, দু’জন মানুষই যা চুপচাপ আছেন এখনও।

তাঁরা কারা?

বাবা-মা। যদিও ওঁরা আমেরিকায় ছুটি কাটানোর ফাঁকে ট্রেলরটা দেখেছেন। কিন্তু কোনও প্রশ্ন করেননি এখনও। আসলে, বাবা-মাও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। (হেসে) ওঁদের এত শক দিয়েছি জীবনে, যে ওঁরাও বুঝতে পারেন না, মেয়ে ঠিক কী করতে চায়।

কী বলছেন, শক!

হ্যাঁ, ওই আর কী। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর, বাবা বললেন এম টেক করতে। আমি ওঁদের বলা পথে না হেঁটে, এমবিএ পড়া শুরু করলাম। মা বললেন, এমবিএ-ই যখন পড়বি, তা হলে বিদেশে পড়। আমি গোঁ ধরলাম যে, দেশ ছেড়ে যাব না। পাড়ায় এত বন্ধু আমার, তাদের ছেড়ে কেউ যায়? তো, গেলাম না। কয়েক বছর পর যখন মা-বাবা সবে ভাবতে শুরু করেছেন যে এ বারে মেয়ে সেটলড হবে, আমি সব ছেড়েছুড়ে চললাম হায়দরাবাদ। দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে। দিল্লির চেনা পাড়া ছেড়ে একটা সম্পূর্ণ অপরিচিত শহরে সেটল করলাম। ওঁরা এত শক নিয়েছেন জীবনে যে আর আমাকে নিয়ে বদার্ড নন (হাসি)।

দিল্লির এমবিএ কলেজ থেকে সোজা তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অজানা ভাষা, অচেনা শহর। এ তো পুরো উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুতে যাওয়া...

হ্যাঁ, তাই-ই। কলেজে পড়াকালীন কয়েকটা মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট করেছিলাম। সেই সূত্রেই হঠাৎ একদিন হায়দরাবাদ থেকে কিছু এজেন্সি ফোন করে জানালো যে তারা আমায় তেলুগু ছবিতে কাস্ট করার কথা ভাবছেন। ব্যস, রাজি হয়ে গেলাম। এখন হলে কেউ এই রিস্ক নিত কি না আই অ্যাম নট শিওর!

এই উল্টো পথে হাঁটার ফলই কি ‘পিঙ্ক’য়ে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয়?

হয়তো। যে দিন সুজিতদার অফিস থেকে ফোন করে বলল যে ‘পিঙ্ক’য়ে ওঁরা আমার কথা ভাবছেন, তখনও জানতাম না যে আমার বিপরীতে থাকবেন মিস্টার বচ্চন। ইট ওয়াজ আন আইসিং অন দ্য কেক।

আমি ভীষণ লাকি। তেলুগু ছবিতে এত দিন কাজ করলেও, বলিউডে তো আমি এখনও নতুন। আর ইতিমধ্যেই আমার কো-স্টার অমিতাভ বচ্চন! তবে একটা
কথা বলি?

কী?

আমি কিন্তু এই কোর্ট রুমের দৃশ্যটা করতে একটুও ভয় পাইনি। এই সিকুয়েন্সটা প্রায় শেষের দিকে শ্যুট হয়েছিল, এবং তত দিনে আমি বেশ সড়গড় হয়ে গেছিলাম পুরো প্রসেসটায়। সুতরাং, সেদিন মিস্টার বচ্চন যখন কোর্টে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘মিস অরোরা, আপনি কি ভার্জিন?’ তাপসী পান্নু ওয়াজ আ কনফিডেন্ট লেডি

বাই দেন। এর ক্রেডিটটা অবশ্যই আমার কো-অ্যাক্টরদের। আমি তো ওঁদের দেখেই শিখেছি। আমার মতো একজন, যার অভিনয় নিয়ে কোনও পড়াশোনা নেই, তার কাছে তো কো-অ্যাক্টর আর ডিরেক্টরই সবচেয়ে বড় টিচার।

কিন্তু লোকে তো বলে, ‘পিঙ্ক’য়ের সেটে আপনার টিচার ছিলেন প্রযোজক সুজিত সরকার। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী নন...

(থামিয়ে দিয়ে) না, না। আসলে, টনিদাও আমাকে আগে চিনতেন না, আমিও না। আমাদের দু’জনের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম ছিলেন সুজিতদা। উনি আমার কাজের সঙ্গে পরিচিত, আর সেই জন্যই ওঁর প্রেজেন্সটা ভীষণ হেল্প করেছে।

তবে টনিদা ইজ আ গ্রেট ডিরেক্টর। বলিউডে প্রথম ছবি, কিন্তু কী ভীষণ ক্ল্যারিটি ওঁর চিন্তাভাবনায়। প্রথম দিন থেকেই উনি আমাদের বুঝিয়েছেন যে উনি কী চান। দ্যাট রিয়েলি হেল্পড! আর টনিদা ভরসা রেখেছিলেন বলেই তো এত দূর আসা গেল।

পর্দার মিস অরোরাকে তো আর কয়েক দিন পরেই দেখবেন দর্শক। কিন্তু বাস্তবের মিস অরোরা ঠিক কেমন?

(একটু থেমে) টিপিক্যাল দিল্লির মেয়ে আমি। কোনও কিছুতেই ভয় পাই না।

যখন যেখানে প্রতিবাদ করার, করি। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিই। কে কী ভাবল, কে কী বলল, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। জীবনে প্রচুর ভুল লোককে বিশ্বাস করে ঠকেছি, কিন্তু আবার ফিরে এসেছি। শিখেছি নিজের ভুলগুলো থেকে। আমার কাছে ফিল্ম কেরিয়ার, বক্স অফিস হিট—এ সবের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল বন্ধু বা পরিবার। আর আমি খুব বেশি দিন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকবও না।

সে কি! এই তো সবে শুরু। এরই মধ্যে সরে যাওয়ার কথা কেন?

দেখুন ভাই, আমার কাছে জীবনটা উপভোগ করা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আর এরকম তো নয় যে আমি অভিনয় ছাড়া আর কিছু পারি না। আর পারিই যখন, খামোকা ইঁদুর দৌড়ে বেশি দিন থেকে কী লাভ?

আর আমি এটাও জানি যে আজ হোক বা কাল, এই গ্ল্যামারের দুনিয়া একদিন দূরে সরে যাবে। জেনেশুনে কেন শেষ দিন পর্যন্ত দৌড়ব বলুন তো? আমি বরং অন্য কিছু করব...

কী করবেন?

গত বছর একটা ওয়েডিং প্ল্যানিং কোম্পানি খুলেছি, যেটা এখন আমার বোন সামলায়। হয়তো আমিও আস্তে আস্তে ওটাই সামলাবো। বা অন্য কিছু করব। শুধু সিনেমাকে আঁকড়ে বসে থাকলে, একটা সময়ের পর তো জাস্ট হারিয়ে যাব। সেই জন্যই তো সিনেমার বাইরের এই জগৎটা...

কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি আপনার বন্ধুর সংখ্যা হাতে গোনা...

হ্যাঁ, আমার অধিকাংশ বন্ধুই ইন্ডাস্ট্রির বাইরের। আমি আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে খুব একটা সোশ্যাল নই। যদিও আমার সঙ্গে প্রত্যেকেরই সম্পর্ক ভালো, ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম মানুষ খুব কম আছেন, যাদের আমি যখন তখন ফোন করতে পারি, কিংবা দরকারে সাহায্য চাইতে পারি, মাঝরাতেও...

তা হলে, মাঝরাতে ফোন করার বন্ধু কারা?

তারা মূলত কলেজের বন্ধু। তবে হ্যাঁ, ইন্ডাস্ট্রিতে দু’এক জন আছে। যেমন সিনেমাটোগ্রাফার অমিত রায়, কিংবা অমিত সাদ। বিপদে পড়লে অবশ্য আমি সুজিত (সরকার) দা কেও ফোন করতে পারি। ওঁর মতো ভালো মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম আছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার হাসি নিয়ে এত আলোচনা। পুরুষ হৃদয়ে তো ঝড় উঠে গেছে আপনাকে নিয়ে। কিন্তু শুনেছি, আপনাকে নাকি ছেলেরা বেশ ভয় পায়...

(হেসে) সেটা কিছুটা ঠিকই শুনেছেন। আমি চুপচাপ থাকি বলে অনেকেরই ধারণা যে আমি ভীষণ রুড। তবে আমি মোটেও তেমন নই। ছেলেরা প্রোপোজও করে না (হাসি)। লাস্ট ছ’বছরে জাস্ট দু’জন ছেলে বলেছে, লেটস গো আউট অন আ ডেট!

প্রেম করেন?

(একটু হেসে) পরের প্রশ্নে যাই, প্লিজ...

আচ্ছা, আপনি নাকি ব্যাডমিন্টন ভক্ত...

(একটু থেমে) হুম... তো!

কোনও টুর্নামেন্টই দেখতে ছাড়েন না। ডেনমার্কের স্থানীয় লিগও তো নাকি লাইভ স্ট্রিম করে দেখেন...

(একটু হেসে) হুম।

আচ্ছা, সোজাসুজি জিজ্ঞেস করি তাহলে। ডেনমার্কের ব্যাডমিন্টন তারকা মাথায়াস বো-য়ের সঙ্গে বিয়েটা কবে? প্রায় চার বছরের সম্পর্ক তো...

ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা নাই বা বললাম এখন। ঘরের কথা বাইরে কেন বলব? এ বার অন্য প্রশ্ন করুন...

পছন্দের অভিনেত্রী কে?

লম্বা লিস্ট। প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাওয়াত, আলিয়া ভট্ট।

কখনও মনে হয়, একদিন এদের সঙ্গের নামটাই হবে তাপসী পান্নুর?

ওদের সঙ্গে অভিনয় করার স্বপ্নই কোনও দিন দেখিনি। আমি জানি, ওদের লেভেলে পৌঁছনোটাও সম্ভব নয়। সেই জন্যই আমি অন্য রকমের ছবিতে, অন্য রকমের চরিত্রে নিজের ছাপ রাখার চেষ্টা করছি। আমি চাই, অন্তত এমন একটা উচ্চতায় পৌঁছতে যেখানে লোকে আমার জন্য টিকিট কেটে সিনেমা হলে যাবেন।

কিন্তু অন্য ধারার ছবিতেও তো কম্পিটিশন প্রচুর...

দেখুন, কম্পিটিশন তো সব জায়গাতেই আছে। শুধু আমরা বলিউডে কাজ করি বলে, আমাদের নিয়ে চর্চাটা বেশি হয়। কিন্তু ভালো কাজের বিকল্প কিছু নেই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কখনও আমি কোনও চরিত্র থেকে বাদ পড়ব, আবার কখনও, অন্য কারওর জায়গায় আমায় নেওয়া হবে। এটাই তো নিয়ম।

আচ্ছা, ‘পিঙ্ক’য়ে ফিরি। প্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের থেকে কী শিখলেন এই ছবিতে?

ডেডিকেশন। ওটা শেখার মতো। প্রথম দিন শ্যুটিংয়ে তো আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে আমি ওঁর সঙ্গে অভিনয় করছি।

একটা শট ছিল, যেখানে আমাকে শুয়ে থাকতে হত চুপ করে আর অমিত স্যর আমার কো-অ্যাক্টরদের সঙ্গে কথা বলছেন। ওই শটটা খুবই সাধারণ, কিন্তু ওটার জন্যই আমাকে চারটে রিটেক দিতে হয়েছিল। কারণ, আমার সামনে ছিলেন ‘দ্য অমিতাভ বচ্চন’। তার পরের সব শট অবশ্য এক টেকেই ‘ওকে’ হয়েছিল। (একটু থেমে) তবে, অমিতাভ বচ্চন কিন্তু আমার প্রিয় অভিনেতা নন। উনি লিজেন্ড।

সেকি! তাহলে প্রিয় অভিনেতা কে?

আমির খান, রণবীর কপূর।

আর ক্রাশ?

ফাওয়াদ খান। হি ইজ সো হ্যান্ডসাম! কোনও দিন যদি দেখা হওয়ার সুযোগ হয়, আমি জাস্ট অজ্ঞান হয়ে যাব।

সোজাসুজি কথা বলেন, আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঠোঁটকাটা...

হ্যাঁ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট আমি নিজেই সামলাই। যদিও আমার এক ডিজিটাল পিআর টিম আছে, কিন্তু তাদের আমি নিজের অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল করতে দিই না। আমি চাই, আমার টুইটার প্রোফাইলে এসে লোকে আমাকে চিনুক। বুঝুক যে তাপসী মেয়েটি আসলে কী ভাবে। পর্দার আমিকে তো দেখাই যায়, বাস্তবের আমিটাকেও মানুষ চিনুক।

‘পিঙ্ক’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন

‘পিঙ্ক’য়ের শ্যুটিং চলাকালীন নাকি দিল্লিতে একটি মেয়েকে হেনস্থা হওয়ার থেকে বাঁচিয়েছিলেন...

তেমন কিছু নয়। একটু সাহায্য করেছিলাম জাস্ট। আমি তখন দিল্লি মেট্রোতে যাতায়াত করছিলাম। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় দেখি, একটি মেয়েকে কয়েকজন ছেলে ফলো করছে। মেয়েটির মুখ থমথমে। আমি এগিয়ে গিয়ে ওকে বললাম, তুমি আমার সঙ্গে চলো। মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দিলাম।

দেশ জুড়ে হেনস্থার শিকার মহিলারা। এই সময়ে ‘পিঙ্ক’ কতটা প্রাসঙ্গিক?

ভীষণ প্রাসঙ্গিক। আজকাল যে পরিমাণে এই বিষয়ে লেখা হচ্ছে, আগে তো হত না। আমরা ছবিতে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বাকিটা তো আপনার উপর...

আচ্ছা, একটা কথা বলুন। এত দিন ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন, কখনও মনে হয়নি যে যদি আমির বা রণবীরের সঙ্গে একটা ছবি করা যেত...

(থামিয়ে) সেগুলো তো আর একদিনেই হবে না। সময় লাগবে তার জন্য। আমার তো আর ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও বাবা বা ঠাকুর্দা নেই যে, যখন চাইব এঁদের সঙ্গে কাজ করতে পারব। আশায় আছি, চলে যাওয়ার আগে একদিন স্বপ্ন সফল হবে।

বডি শো-তে স্বচ্ছন্দ?

মন্দ কি? তবে, বলিউডে আজকাল এত বডি শো হচ্ছে যে আমার আর কোনও জায়গা নেই সেখানে। যদি চরিত্র ডিমান্ড করে, তাহলে শরীর দেখাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু, সেখানেও এত ভিড় যে কেউ সুযোগই দিচ্ছে না। তাই আমি অন্য রকম বলেই নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি।

আচ্ছা, শুনেছি আপনার এই ‘ডু নট কেয়ার’ মনোভাবের জন্যই নাকি, ভারতীয় ক্রিকেট দলে আপনার বিশাল ফ্যান ফলোয়িং?

(জোরে হেসে) তাই নাকি! আমি জানি না তো। আরে ভাই, আমার কোনও ক্রিকেটার বন্ধু নেই। আপনার কাছে কারও নম্বর আছে? দিন না...

কার নম্বর চাই? বিরাট কোহালি না অম্বাতি রায়ুডু?

(হেসে) এগারো জনের নম্বরই দিন না! সবাইকে ফোন করে টিকিট চাইব। জানেন, মুম্বইতে টি২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সময়ে একটাও টিকিট পাইনি। নম্বরগুলো পেলে, বন্ধুত্ব পাতিয়ে ম্যাচের টিকিট চাইব...

ম্যাচ দেখতে যাবেন কার সঙ্গে? বয়ফ্রেন্ড বো, না ক্রাশ ফাওয়াদ খান?

(একটু বিরক্ত হয়ে) উফ, আপনি না!

প্রিয় পরিচালক কে?

মণিরত্নম। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। আপাতত ফোকাসটা ‘পিঙ্ক’য়েই! প্রচুর এসএমএস আর ফোন পেতে চাই রিলিজের পর...

বিশেষ কারও এসএমএস?

(হেসে) না। আপনিও করতে পারেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Taapsee Pannu pink
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE