শিবপ্রসাদ
প্রযোজক-পরিচালকের দ্বন্দ্ব টলিউ়ডে নতুন নয়। সাধারণত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়। কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই বিষয়গুলো আইনি পর্যায়ে পৌঁছয়। শোনা যাচ্ছে, পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে এম কে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি মতো সব পাওনা মেটানো হয়নি।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের ছবি ‘বেলাশেষে’র প্রযোজনায় ছিল তাঁদেরই সংস্থা উইন্ডোজ়। এবং ছবির আর এক প্রযোজক ছিল এম কে মিডিয়া। সেই মতো আর্থিক চুক্তিও হয়। ‘বেলাশেষে’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। তাদের চুক্তি হয় ২০১৪ সালে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ছবির খরচ দু’পক্ষের মধ্যে ৫০ শতাংশে ভাগাভাগি হবে। সেই মতো, ছবির লাভের টাকাও অর্ধেক ভাগাভাগি হবে। সিনেমা হলের কালেকশন থেকে স্যাটেলাইটের স্বত্ব সব কিছুই পড়ছে সেই আওতায়।
খবর হল, হিন্দিতে ভায়াকমকে এক কোটি টাকায় ‘বেলাশেষে’র স্বত্ব বিক্রি করেন শিবপ্রসাদ। অভিযোগ সেই স্বত্বের কোনও টাকা তিনি এম কে মিডিয়াকে দেননি। ওই আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী সেই টাকার অর্ধেক এম কে মিডিয়ার প্রাপ্য।
এ ব্যাপারে এম কে মিডিয়ার তরফে মনোজ জৈনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওটা এমন কিছু নয়। আর এখন সেটা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর বলছে, আইনি নোটিস পাওয়ার পরেই শিবপ্রসাদ যোগাযোগ করেন মনোজ জৈনের সঙ্গে। আইনি জটিলতায় যেতে চান না পরিচালক। যাতে বিষয়টা বেশি দূর না গড়ায়, শিবপ্রসাদ তাঁকে কিছু টাকা দিয়ে রফা করে নিতে চান। প্রযোজক নাকি তাতে রাজি হননি। আনন্দ প্লাসের পক্ষ থেকে শিবপ্রসাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy