Advertisement
E-Paper

মুভি রিভিউ: ‘আহা রে’ রান্নার গন্ধ অন্য প্রেমের গল্প বলে

ফুড কালচার নিয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমে খুব কথা বলা হয় না। কিছু ফুড ব্লগ লেখা হয় ঠিকই। কিন্তু তা-ও হাতেগোনা। অথচ, কিছু বছর আগের ‘লাঞ্চ বক্স’ ছবিটার কথা মনে পড়তে পারে। খাবারে এসে মিশে যায় জাত-ধর্ম। শিল্প-সঙ্গীতের মতোই খাদ্যেও কোনও ভেদাভেদ নেই।

দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩৮

পরিচালক: রঞ্জন ঘোষ

অভিনয়: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আরিফিন শুভ, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়

ডিপ্রেশন কাটাতে রান্না করতে বলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। দুনিয়ার বহু নামী শিল্পী চমৎকার রান্না করতে পারতেন। পারেন। আর ভালোবাসার সঙ্গে রান্নার যোগও বহুকালের। সেই সম্পর্কই পরতে পরতে খুলল রঞ্জন ঘোষের ‘আহা রে’ ছবিতে। তেল, পেঁয়াজ আর লঙ্কার মিশেলে ভালোবাসার খিদে পাবেই।

‘‘আসলে ভালবাসা ম্যজিকের মত। কার কপালে কখন লাগে, কেউ বলতে পারে না।’’ বলছিলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতে বসন্ত। সন্ধ্যা হলেই হাওয়া দিচ্ছে। শপিং মলের সামনে হাত ধরে নিচ্ছে ছেলেমেয়েরা। ফুডকোর্টে আহারের ভিড়। অন্য দিকে, সিনেপ্লেক্সে ‘আহা রে’ দেখতে এসে আলাপ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর অরিফিন শুভ-র সঙ্গে। রান্না দিয়েই প্রেম-প্রেম গন্ধ তাদের। রান্না দিয়ে ঢাকা-কলকাতা একাকার।

আরও পড়ুন, ‘সম্পর্ক আর প্রেম আজ আর দীর্ঘস্থায়ী নয়’

ফুড কালচার নিয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমে খুব কথা বলা হয় না। কিছু ফুড ব্লগ লেখা হয় ঠিকই। কিন্তু তা-ও হাতেগোনা। অথচ, কিছু বছর আগের ‘লাঞ্চ বক্স’ ছবিটার কথা মনে পড়তে পারে। খাবারে এসে মিশে যায় জাত-ধর্ম। শিল্প-সঙ্গীতের মতোই খাদ্যেও কোনও ভেদাভেদ নেই। এ ছবিতেও তাই বাংলাদেশের রাজার সঙ্গে কলকাতার বসুন্ধরার অনায়াস প্রেম হয়। রান্না থেকে মান-অভিমান পেরিয়ে সে প্রেম চলতেও থাকে।

রাজার ও বসুন্ধরার আগের সম্পর্ক ভাঙে। রাজা পেশায় শেফ। অন্য দিকে প্রয়াত স্বামীর রান্নার শখ বাচিয়ে রাখতে, কেটারিং এর কাজ করেন বসুন্ধরা। নাম দেন ইয়ং বেঙ্গল। সম্পর্ক ভাঙার পর কলকাতায় চলে আসে রাজা। পুরনো কলকাতার এক রেস্তরাঁতেই আলাপ হয় বসুন্ধরার সাথে। নুন কম না বেশি, তা দিয়েই ঝগড়া আর কথা শুরু।


ছবির দৃশ্যে আরিফিন এবং অমৃতা।

জোম্যাটো আর সুইগিতে অর্ডার দেওয়ার যুগে এ ছবি অন্য রকম লাগে। মায়ের হাতের রান্না যেমন। এমন নয় যে এ ছবি অভিনব। খুবই সাধারণ এক প্রেমের ছবি। কিন্তু রান্নার গন্ধ অন্য গল্প ছড়ায়। তাজপুরের সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া স্বামীর দুঃখ নতুন বন্ধুত্বে ভুলতে থাকেন বসুন্ধরা। কিন্তু সম্পর্ক গভীর হলে, পিছিয়েও যান। তার দ্বিধা দ্বন্দ্ব অপরাধবোধ সত্য লাগে ঋতুপর্ণার অভিনয়ে। অন্য দিকে, রাজার জীবনে ফিরে আসে প্রাক্তন প্রেমিকা। আখ্যান অন্য খাতে বইতে থাকে। শেষে কি তাদের দেখা হবে? কে জিতবে কলকাতা না ঢাকা?

আরও পড়ুন, ‘বয়ফ্রেন্ড প্রচন্ড পজেসিভ আর ঘ্যানঘ্যানে জীব!’

পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় যথারীতি দাগ কাটে। ঋতুপর্ণা ছাড়াও অরিফিন, শুভ আর অমৃতা চট্টোপাধ্যায়কেও ভালো লাগে। তবে, রাজার বাবা-মার চরিত্রে দীপঙ্কর দে আর শকুন্তলা বড়ুয়াকে কি আরও একটু বেশি ব্যবহার করা যেত না? আর সিনেমার আখ্যানও কি আরও একটু ছোট হতে পারত না? তা ছাড়া, আবহও গড়পড়তা লাগে।

তবুও, সামনে দোল। বাতাসে প্রেম। বসন্ত এসে গেছে। অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক হানাহানি। তাই দেখে নিতে পারেন এ ছবি। কারণ এ তো প্রেমের ছবি। এই আর কী!

দেখুন, বিনোদনের নানা কুইজ

(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগ।)

Movie Review Film Review মুভি রিভিউ Rituparna Sengupta ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy