নিত্যা, জ়োয়া, রিমা
মুম্বইয়ে মেনস্ট্রিম বিনোদনের কারিগররাও এখন ওয়েব সিরিজ়ের গুরুত্ব বোঝেন। তাই জ়োয়া আখতার, রিমা কাগতি, অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব এবং নিত্যা মেহরার মতো ছবি-করিয়েরা জোট বেঁধেছেন নতুন এক ওয়েব সিরিজ়ের জন্য। ‘মেড ইন হেভন’।
বিয়ে নিয়ে ভারতীয়দের উন্মাদনা মাত্রাহীন। তার ছাপ পর্দা থেকে বাস্তব জীবন, সর্বত্রই। কিন্তু যে ঝাঁ চকচকে বিয়ের ছবি যত্ন করে বানানো অ্যালবামে ঠাঁই পায়, তার পিছনের গল্পগুলো আসলে কেমন? তা নিয়েই এই শো।
সোমবার কলকাতায় এসেছিলেন শোয়ের নির্মাতারা। অলঙ্কৃতা আসতে পারেননি। কিন্তু বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বসলেন জ়োয়া, রিমা এবং নিত্যা। প্রচারে ছিলেন কাল্কি কেকলাঁ, অর্জুন মাথুর এবং শোভিতা ধুলিপালাও।
বিয়ে নিয়ে যে অতিরিক্ত মাতামাতি, এটা ঠিক কেন? কী মনে করেন পরিচালকরা? প্রথম উত্তর দিলেন জ়োয়া, ‘‘কারণ আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, একটা মেয়ের জীবনে বিয়ের দিনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! জীবনের শুরু আর শেষে বিয়েটাই ধ্রুব। এ রকম চাপ যে কোনও মানুষকেই নিউরোটিক করে তুলবে!’’ সামাজিক চাপের প্রসঙ্গ তুললেন রিমা, ‘‘আত্মীয়স্বজন, বাবা-মায়েদের তৈরি করা প্রেশারকে বাদ দিলে হবে না। বিয়েটা যেন একটা শো বিজ়নেস!’’ নিত্যা যোগ করলেন, ‘‘বাবা-মায়েদের উপরেও তো সমাজের তৈরি করা চাপটা থাকে যে, ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতেই হবে! অনেক মা-বাবা বিয়ে দিয়েই তাঁদের দায় শেষ বলে ভাবেন!’’
শোয়ের প্রাথমিক ভাবনা ছিল রিমা এবং জ়োয়ার। জ়োয়ার অনেক বন্ধুবান্ধব আছেন, যাঁরা ওয়েডিং প্ল্যানারের কাজ করেন। শোয়ের বহু ঘটনা তাঁদের কাছ থেকেই জেনেছেন জ়োয়া। কোনও বিয়ে বাড়িতে উদ্ভট ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন কখনও? ‘‘ফারহা (খান) আর আমি এক বার একটা বিয়েতে একসঙ্গে নিমন্ত্রিত ছিলাম। গুরুদ্বারায় অনুষ্ঠান ছিল। আমরা সেখানে গিয়ে গল্প করছিলাম, খাওয়াদাওয়া করছিলাম। তার পর কনে এসে পৌঁছতে বুঝলাম, আমরা ভুল বিয়েতে এসে পড়েছি! আমাদের নিমন্ত্রণটা অন্য গুরুদ্বারায় ছিল!’’ হাসতে হাসতে বলছিলেন জ়োয়া। রিমা জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। এক বিয়ে বাড়িতে লাগোয়া সুইমিং পুলের চার পাশটা সাজানো হয়েছিল মোমবাতি দিয়ে। সেখানে উপস্থিত এক মহিলার পোশাকের পায়ের কাছে ঘটনাচক্রে আগুন লেগে যায়! রিমা বলছিলেন, ‘‘আগুন নেভাতে সেই মহিলাকে অন্য আর এক জন ধাক্কা মেরে পুলেই ফেলে দিয়েছিল!’’ নিত্যার সঙ্গে আবার এমন ঘটনা হয়নি। ‘‘বিয়ে বাড়িতে এক দল আন্টি থাকেন, যাঁরা সারাক্ষণ ঘটকালি করতে থাকেন! সে রকম আমার সঙ্গেও হয়েছে। ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর!’’ মন্তব্য তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy