মুক্তি পেল ফেলুদার পোস্টার।
জটায়ু তাঁকে বলতেন, এবিসিডি। মানে এশিয়াজ বেস্ট ক্রাইম ডিটেক্টর। তো সেই এবিসিডি ‘ফেলুদা’ এ বার পঞ্চাশে পা দিলেন।
সত্যজিত্ রায়ের এই গোয়েন্দা চরিত্র ১৯৬৫তে প্রথম ‘সন্দেশ’-এর পাতায় মুখ দেখিয়ে ছিলেন, বাঙালির মন জয় করতে। সেই শুরু। এখনও সেই সফর চালু রেখেছেন ফেলুদা। বাঙালির সর্বকালের সেরা গোয়েন্দা চরিত্রদের মধ্যে তিনি অন্যতম। উচ্চতা ৬ ফুট, আঙুলের ফাঁকে চারমিনার, পকেটে কোল্ট ৩২— মগজাস্ত্র টু আগ্নেয়াস্ত্র সবেতেই এক নম্বরে। আসল নাম প্রদোষচন্দ্র মিত্র।
প্রকাশনায় ‘ফেলুদা’র ৫০ বছর। আর সেই আনন্দ জাস্ট ডাবল করলেন তাঁর ছেলে সন্দীপ রায়। মুক্তি পেল ‘ডবল ফেলুদা’র পোস্টার। ৫০ পূর্তিতে দর্শক এই শীতেই আসছে ফেলুদা এবং তোপসে। জটায়ু ‘অ্যাবসেন্ট’। সন্দীপবাবু জানিয়েছেন মানানসই ‘জটায়ু’ পাওয়া যায়নি, তাই গল্পও এমন বাছা হয়েছে যেখানে ‘জটায়ু’ অনুপস্থিত। ‘সমাদ্দারের চাবি’ ও ‘গোলোকধাম রহস্য’ এই নিয়ে ‘ডবল ফেলুদা’। ফেলুদার চরিত্রে সব্যসাচী চক্রবর্তী, তোপসে সাহেব চট্টোপাধ্যায়। সত্যজিতের এই দুই গল্পে ফেলুদার বয়স বাড়েনি, সন্দীপবাবুর সিনেমায় ফেলুদার বয়স বেড়েছে। ‘বাদশাহী আংটি’র পর আবার ফেলুদা থাকছে তবে থাকছেন না আবির চট্টোপাধ্যায়। তার কারণ দুই!
এক আবির এখন অরিন্দম শীলের পরিচালনায় একের পর এক ব্যোমকেশ এ অভিনয় করে চলেছেন, দুটির পার্থক্য থাকাটা জরুরি। আর দ্বিতীয়ত আবির এই মুহূর্তে অন্য দুই প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। অন্য কোনও প্রযোজকের ছবিতে তিনি অভিনয় করতে পারবেন না।
তবে যাই হোক এই শীতের আগে এক দিকে ডবল ফেলুদা আর অন্য দিকে অরিন্দম শীলের ব্যোমকেশ পর্ব। দুয়ে মিলে কিন্তু এ শীতের গায়ে গোয়েন্দার গন্ধ।
আরও পড়ুন:
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy