‘বোল্ড’ এবং ‘স্ট্রং’— শব্দ দু’টির যে ভিন্ন আভিধানিক অর্থ রয়েছে তা হয়তো কারও অজানা নয়। কিন্তু, এই দুটো শব্দকেও অনেক সময় এক করে ফেলেন অনেকে। কিন্তু পার্থক্য তো রয়েইছে। আর সেই পার্থক্যের কথাই ফের এক বার মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে।
আরও পড়ুন, ‘বাবা সুরাসক্ত ছিল, তাই নেশা করাটা কোনও দিন খারাপ মনে হয়নি’
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে রাধিকা জানিয়েছেন, বলিউডে এখন অন্য রকম অনেক ছবি হচ্ছে। ‘পিকু’ বা ‘কহানি’-র মতো ছবি মেয়েদের কথাই বলছে। এ ছাড়া বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। নায়িকারা এখনও কস্টিউম বা কো-অ্যাক্টর নিয়ে বিশেষ কথা বলতে পারেন না। শুধু ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা এখন অনেক বেশি মতামত দেন। পরিবর্তন হয়নি সমাজ তথা দর্শকদেরও। তাঁদের পরিণত হতে এখনও অনেক দেরি। এক জন অভিনেত্রী ‘বোল্ড’ সিন করছেন মানেই যে তিনি খুব ‘স্ট্রং’ এমন নাও হতে পারে। আবার কোনও মহিলা হয়তো খুব কম কথা বলেন, বা বলে ধীরে ধীরে বলেন— তিনি হয়তো মানসিক ভাবে খুব শক্তিশালী। তাঁর মতে, যে সব মেয়েরা মুখের উপর সত্যি কথা বলেন, মানসিক ভাবে শক্তিশালী, যাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন— তাঁদের হজম করতে এ সমাজের এখনও অনেক সময় লাগবে।
‘পার্চড’ ছবির একটি দৃশ্যে আদিল হুসেন এবং রাধিকা আপ্তে।
রাধিকা নিজে একসময় ‘লিভ ইন’ রিলেশনশিপে ছিলেন। তা নিয়ে তাঁর পরিবারের কোনও সমস্যা না থাকলেও সমাজের অনেকেই নাকি তাঁকে বাঁকা চোখে দেখতেন। সম্প্রতি ‘পার্চড’ ছবিতে রাধিকার কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। সে প্রসঙ্গে রাধিকা বলেছেন, ‘‘যখন আমি খবরটা পাই, স্বামীর সঙ্গে বসে ব্রেকফার্স্ট করছিলাম। আমরা দু’জনেই শুধু হেসেছিলাম। আমি ভাবি, যাঁরা আমার জীবন নিয়ে কোনও দিনই কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, তাঁদের এ সব করে কী লাভ? আরও একটা কথা মনে হয়, এদের উপেক্ষা করাই ভাল। তাতে মানুষ হিসেবে, শিল্পী হিসেবে নিজেরই উত্তরণ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy