মেরে পেয়ারে প্রাইম মিনিস্টার
পরিচালনা: রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা
অভিনয়: ওম, অঞ্জলি, রাশিকা
৬/১০
আরও একটি শৌচাগার নিয়ে ছবি, ‘মেরে পেয়ারে প্রাইম মিনিস্টার’। ছবিটির শেষে কালো পর্দায় ফুটে উঠল দুটো তথ্য— ভারতে এখনও প্রায় ৩০ কোটি মহিলা খোলা আকাশের নীচে রাতের অন্ধকারে শৌচকর্ম করতে বাধ্য হন। এবং ভারতে ধর্ষিতাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মহিলা এই কাজ করতে গিয়েই বিপদে পড়েন। পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ছবির বিষয় এটাই।
মুম্বইয়ের এক বস্তি। যেখানে ঘরে ঘরে টিভি, ফ্রিজ। বাচ্চা-বুড়োর হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। কিন্তু কয়েক লক্ষ বস্তিবাসীর জন্য নেই কোনও শৌচাগার! কাজ সারার জন্য মেয়েদের অপেক্ষা করতে হয় রাত পর্যন্ত। ওটাই মেয়েদের সুখ-দুঃখ ভাগ করার সময়। রং খেলার রাতে একা কাজ সারতে গিয়ে ধর্ষিত হয় কানহাইয়ার (ওম কানোজিয়া) মা সরগম (অঞ্জলি পাতিল)। সে সিঙ্গল মাদার। কানহাইয়া ওরফে কানু বস্তির আর পাঁচটা ছেলের মতো বাঁধনছাড়া। রোজ রোজ স্কুল নেই। বন্ধুদের সঙ্গে কাগজ বিক্রি থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি, সবই করে। মানে না বুঝে কন্ডোম বিক্রিও! উদ্দেশ্য একটাই। উপার্জন। অভাব থাকলেও মা-ছেলের জীবনে আনন্দ ছিল। মায়ের ঘটনা কানুকে বদলে দেয়। তার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বুঝতে পারে বিপদটা কোথায়। সে তার সমস্যা জানিয়ে চিঠি লেখে প্রধানমন্ত্রীকে।
বস্তির জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে ছবিতে। মেলোড্রামা নেই। সমস্যা ও মজা পাশাপাশি ব্যালান্স রেখে চলেছে। ছবির বল সংলাপ এবং সম্পাদনা। তবে তার চেয়েও শক্তিশালী ওম, সায়না, আদর্শ, নিরালা প্রমুখ শিশুশিল্পী। ওদের স্বাভাবিক ও পরিণত অভিনয় অবাক করে। প্রশংসা করতেই হয় শঙ্কর-এহসান লয়-এর মিউজ়িকের। কিন্তু যে বাচ্চারা তাদের এলাকার বাইরে কোনও দিন বার হয়নি, তারা বিনা টিকিটে মুম্বই থেকে দিল্লি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পৌঁছে গেল এত সহজে! এখানে হয়তো একটু টুইস্ট দর্শক আশা করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy