স্বস্তিক সঙ্কেত
পরিচালক: সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়:নুসরত, গৌরব, রুদ্রনীল, শাশ্বত, শতাফ
৬.৫/১০
বাঙালি আত্মবিস্মৃত জাতি, এ অভিযোগ অনেক দিনের। তবে সে অভিযোগের মুখে ছাই দিয়ে সাম্প্রতিক বাংলা ছবিতে যে ভাবে বাঙালির স্মরণীয় সব কীর্তি তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে থ্রিলারের মোড়কে, তা সাধুবাদযোগ্য। সায়ন্তন ঘোষালের ‘স্বস্তিক সঙ্কেত’ ছবিটির ভিত্তিও তাই। হিটলার ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সুভাষচন্দ্র বসুর জার্মানি-সফরের অনালোচিত অধ্যায়, মারণভাইরাসের আতঙ্ক, বিশ্ব জুড়ে অভিবাসী সমস্যা, নারী ক্ষমতায়নের মতো বিভিন্ন বিষয়কে এক সূত্রে বেঁধে ফেলেছে এ ছবির চিত্রনাট্য। আর এই বিভিন্ন সুতো দিয়ে বোনা জালে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। লন্ডনের প্রেক্ষাপটে হারিয়ে যাওয়া অতীতকে সম্বল করে সে রহস্যভেদে নামে রুদ্রাণী-প্রিয়ম।
ক্রিপ্টোগ্রাফার রুদ্রাণী (নুসরত জাহান) তার বই প্রকাশের সূত্রে লন্ডনে যায়। স্বামী প্রিয়ম (গৌরব চট্টোপাধ্যায়) সেখানেই কর্মরত। ড. শুমেখার (শতাফ ফিগার) কিছু সঙ্কেতের পাঠোদ্ধারে রুদ্রাণীর সাহায্য চায়। এর পরেই লন্ডনে এক ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। রুদ্রাণী-প্রিয়ম বুঝতে পারে, এই মারণভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সঙ্কেতের সমাধান করেই। তবে এর অ্যান্টিডোটের ফর্মুলাটি তখনও পৌঁছয়নি ভুল হাতে। এই ফর্মুলার খোঁজ করতে গিয়ে রুদ্রাণী-প্রিয়ম সন্ধান পায় বৈজ্ঞানিক সত্যেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির পুত্র সুভাষের (দ্বৈত চরিত্রে রুদ্রনীল ঘোষ)। তারা ফিরে দেখে নেতাজি-হিটলার সাক্ষাৎপর্ব, অতীতের যোগসূত্রে চলে ফর্মুলার খোঁজ। সঙ্কেত-সমাধান ও তার শেষরক্ষা হওয়া নিয়েই বাকি ছবি।