রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পড়েছি। ওঁর যুক্তিগুলো একেবারে অগ্রাহ্য করা যায় না। পাশাপাশি এটাও মনে ঠিক, ভেঙে পড়া, বিপর্যস্তের কাছে এই যুক্তি খাটে না। রচনা আসলে খুব দুঃখ, রাগ থেকে কথাগুলো বলে ফেলেছেন। ওঁর আফসোস হয়েছে, কত সম্ভাবনা ছিল ওঁদের মধ্যে। জীবনে আরও কত কিছু করার ছিল। পাওয়ার ছিল। সে সব না দেখেই চলে গেলেন পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী! তার পরেও বলব, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগের মুহূর্ত বড় ভয়ানক। তখন যুক্তি, বুদ্ধি, বিচার-বিবেচনা কিচ্ছু কাজ করে না।
কোনও ভাবে ওই ব্যক্তি যদি সময়টাকে পেরিয়ে যেতে পারেন তা হলে তিনিই পরে নিজের ভাবনা নিয়ে লজ্জিত হন। তাঁরও মনে হয়, ‘‘এ বাবা! আমি কী করতে যাচ্ছিলাম?’’ এখনকার বড় সমস্যা কী জানেন? আমরা সবাই খুব একা। পুরোটাই সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। আমাদের সত্যিকারের বন্ধুর সংখ্যা কমে গিয়েছে। আমরা এখন ভার্চুয়াল দুনিয়ার বাসিন্দা। আমাদের যে সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো ছিল সে সব ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। আগে বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়ের আনাগোনা লেগেই থাকত। এখন আর কেউ কারওর বাড়ি যান না! বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরনো বন্ধুত্ব ফিরে এসেছে। ফোন দিয়ে এখন অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু এ সবের জন্য আমরা কতটা তৈরি ছিলাম? তথাকথিত শিক্ষিতরাও কি এর যথাযথ ব্যবহার করে উঠতে পারছেন?