সৃজিত: ‘সাবাশ মিঠু’ প্রথম ক্রিকেট নিয়ে প্রথম ছবি। আমি খুবই উত্তেজিত। সীমিত বাজেট, বৃষ্টি সব মিলিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের অংশ শ্যুট করে খুব মজা পেয়েছি। আর ‘কাকাবাবু’ তো তিন বছরের পুরনো ছবি। করোনার জন্য পিছিয়েছে। দুটো ছবিই ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা। দেখি কী হয়! চিন্তায় আছি।
প্রশ্ন: ‘সাবাশ মিঠু’ কি পরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল?
সৃজিত: না। সেরকম কিছু তো শুনিনি।
প্রশ্ন: একই পরিচালকের দুটো ছবি এক দিনে মুক্তি পাচ্ছে। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
সৃজিত: দেখুন আমার ছবি বানানোর কথা। এক দিনে আমার দুটো ছবি মুক্তি পেলে কোনও অসুবিধে নেই। বাকিটা পুরোপুরি প্রযোজকের সিদ্ধান্ত। এটা কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, দেশের সর্বত্র যা অবস্থা, তাতে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কোমর ভেঙে গিয়েছে। তার পরেও যে প্রযোজকেরা ছবি বানাচ্ছেন, এটাই বড় ব্যাপার। তাঁরাই ঠিক করবেন কখন কী করবেন। পরিচালকদের কিছু না বলাই ভাল।
প্রশ্ন: নতুন বছরে মুম্বই আর বাংলায় আপনার আরও অনেক ছবি করার কথা। যিশু সেনগুপ্তকে কি ছবিতে আবার নেবেন?
সৃজিত: ওমা! কেন নয়? যার সঙ্গে সাতটা ছবি হয়ে গিয়েছে সে যে আমার প্রিয় অভিনেতা, সেটা কি কাউকে বলে দিতে হবে?
প্রশ্ন: কিন্তু আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ ‘অ-জানাকথা’য় যিশু সেনগুপ্ত বলেছেন, আপনার তাঁর উপর অভিমান হয়েছে...।
সৃজিত: ‘চৈতন্য’ নিয়ে আসলে ওর সঙ্গে অনেক মাত্রায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি লাইভটা দেখেছি। যিশু এ প্রসঙ্গে দৃঢ় ভাবে কথা বলেছে। আমার ভাল লেগেছে।
প্রশ্ন: আপনি কি যিশুকে ‘চৈতন্য’ চরিত্রের জন্য ভেবেছিলেন?
সৃজিত: না। আমি ‘চৈতন্য’ ছবিতেই অন্য এক চরিত্রের জন্য ওকে ভেবেছিলাম। কিন্তু সংবাদমাধ্যম ভেবে নিয়েছিল, আমি ‘চৈতন্য’ চরিত্রের জন্যই যিশুকে ভেবেছি। পরবর্তীকালে আমার ভাবা ওই চরিত্রের জন্য কাজ করতে বললেও যিশু সময় দিতে পারেনি।
প্রশ্ন: আপনার কোনও সাক্ষাৎকারে আপনি এমন কি কিছু বলেছিলেন, যাতে যিশুর খারাপ লাগে?
সৃজিত: আমি বলেছিলাম এক জন অভিনেতা কোনও এক দিন যদি শ্যুটে এসে মনোসংযোগ করতে না পারে, তা হলে আমি তাঁকে কতটা বকাঝকা করি। এটা যে যিশুকে নিয়ে, তা কিন্তু কখনও বলিনি। সেটা ঋতুপর্ণা হতে পারে, বুম্বাদা হতে পারে। যে কোনও অভিনেতা, যাদের নিয়ে আমি কাজ করেছি, তাদের সবার ক্ষেত্রেই কথাটা প্রযোজ্য ছিল। আসলে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আছে, যারা এই বিষয়গুলো নিয়ে জলঘোলা করে আমার সঙ্গে যিশুর বিরূপ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে। আর সাক্ষাৎকারও যেমন ভাবে লেখা হয়েছিল, তাতে যিশুর ভুল বোঝাই স্বাভাবিক।