‘পদ্মাবত’-এর একটি দৃশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
কোনও রাজ্য আলাদা ভাবে ‘পদ্মাবত’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে না। স্পষ্ট রায়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিজেপি শাসিত চার রাজ্যের সরকার এই ছবি প্রদর্শনের উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়ে ছবির প্রযোজকদের পক্ষে রায় দিল। সব কিছু ঠিক থাকলে, আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশের সব রাজ্যে মুক্তি পাচ্ছে ‘পদ্মাবত’।
গোড়া থেকেই এই ছবি ঘিরে বিবাদ, বিতর্ক এবং ঘটনার পর ঘটনা। তখন ছবির নাম ঠিক ছিল ‘পদ্মাবতী’। কখনও শুটিং সেটে করণী সেনার আক্রমণ। কখনও বা ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনের মাথার দাম ঘোষণা। রণবীর সিংহের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি। বারবার সমস্যায় পড়েছে ভংসালীর ছবি।
দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাতের পর, ছবির নাম বদলের শর্তে ছাড়পত্র দেয় সেন্সর বোর্ড। কিছু দৃশ্যেও কাঁচি পড়েছে বলে খবর। কিন্তু সেন্সর বোর্ড মুক্তির অনুমতি দেওয়ার পর নতুন জট তৈরি করে দেয় চার রাজ্যের সরকার। রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা সরকার এই ছবি তাদের রাজ্যে চলতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার শঙ্কাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় চার রাজ্য। বুধবার এই ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারির পরই, একে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ছবির নির্মাতারা। বৃহস্পতিবার তারই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন, পদ্মাবত নিয়ে খুশি নন টুইঙ্কল!
এ দিনের রায় দিতে গিয়ে ‘ব্যান্ডিট কুইন’ ছবির প্রসঙ্গ টানে আদালত। ডাকাত সর্দার থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা ফুলন দেবীর জীবনের উপর ভিত্তি করে ওই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তুমুল বিতর্ক হয় সেই ছবি ঘিরে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, “ব্যান্ডিট কুইন যদি মুক্তি পেয়ে থাকে, তবে এই ছবি (পদ্মাবত) নয় কেন?”
শীর্ষ আদালত তার রায়ে বলেছে, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যে সব দর্শক ওই ছবিটি সিনেমা হলে দেখতে যাবেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। রাজ্যের শান্তি রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য। আদালতের নির্দেশ, নতুন করে অন্য কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আর এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা যাবে না।
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy