Three superstars rejected Don before director cast Amitabh Bachchan dgtl
বিনোদন
রাজি হননি বিখ্যাত ৩ নায়ক, ‘ডন’-এর জন্য বাধ্য হয়েই অমিতাভের কাছে যান পরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদন
১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:৩৭
Advertisement
১ / ১৮
প্রায় সমস্ত ধরনেরই ফিল্ম করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে দুই শতাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রচুর ব্লকবাস্টার ফিল্মের মধ্যে অন্যতম হল ‘ডন’।
২ / ১৮
‘ডন’-এ অমিতাভের ডায়ালগ এখনও সবার মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু জানেন কি ‘ডন’-এর জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ অমিতাভ ছিলেনই না!
Advertisement
Advertisement
৩ / ১৮
অমিতাভের আগে আরও তিন নায়কের দরজায় ঘুরেছিলেন পরিচালক চন্দ্র বারোট। ওই তিন নায়কই ছিলেন সে সময়ের সুপারস্টার।
৪ / ১৮
পরিচালকের মুখে স্ক্রিপ্ট শুনে ওই তিন জনই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। একরদম বাধ্য হয়েই তখন অমিতাভের কাছে যান পরিচালক।
Advertisement
৫ / ১৮
ওই তিন সুপারস্টার কারা ছিলেন? ভারতীয় ফিল্মের সর্বকালের সেরা রোম্যান্টিক নায়ক দেব আনন্দ, সৌম্যকান্তি ‘জাম্পিং জ্যাক’ নায়ক জিতেন্দ্র এবং বলিউডের ‘হি ম্যান’ ধর্মেন্দ্র।
৬ / ১৮
এই তিন নায়কই ছিলেন সে সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা। তার উপর পরিচালক যখন তাঁদের স্ক্রিপ্ট পড়ে শুনিয়েছিলেন, তখন ফিল্মের নাম পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
৭ / ১৮
ফিল্মের গল্প তাঁদের একেবারেই পছন্দ হয়নি। তিন নায়কই পরিচালকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তার পরই ‘ডন’-এর জন্য অমিতাভকে বেছে নেন পরিচালক। সে সময়ের সবচেয়ে স্টাইলিশ ফিল্ম ছিল অ্যাকশন-ক্রাইম-থ্রিলারই। ফিল্ম মুক্তির পর থেকে ‘ডন’ হিসেবেই অমিতাভকে ইন্ডাস্ট্রিতে চিহ্নিত করা হতে থাকে।
৮ / ১৮
এই ফিল্ম তাঁর ঝুলিতে সেরা অভিনেতার পুরস্কার এনে দেয়। শুধু অমিতাভের কেরিয়ারেই নয়, ইন্ডাস্ট্রিকেও ড়সড় লাভের মুখ দেখিয়েছিল ‘ডন’। এ রকম আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী ‘ডন’।
৯ / ১৮
সে সময়ে পুরুষদের একটি অন্তর্বাসের ব্র্যান্ডের নাম ছিল ‘ডন’। অর্থ অন্য হলেও ‘ডন’ শব্দটিও বাজার চলতি ওই ব্র্যান্ডের মতোই শুনতে লাগত। অন্তর্বাসের ব্র্যান্ডের মতো শুনতে লাগে এমন একটি নামে সিনেমা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির মানুষের বিস্তর আপত্তিও ছিল।
১০ / ১৮
সাড়ে তিন বছর লেগেছিল ফিল্ম সম্পূর্ণ করতে। ফিল্ম শেষ হওয়ার আগেই এর প্রযোজক নরিম্যান ইরানি অন্য এক ফিল্মের সেটে দুর্ঘটনায় মারা যান।
১১ / ১৮
বাজেট না থাকায় কোনও প্রোমোশন ছাড়াই ১৯৭৮ সালের ১২ মে মুক্তি পায় ফিল্মটি। প্রথম সপ্তাহের বক্স অফিস কালেকশন খুব খারাপ ছিল।
১২ / ১৮
সিনেমাহলে মুক্তি পেয়ে সপ্তাহভর চলে ফ্লপের তালিকায় প্রায় ঢুকেই পড়েছিল ‘ডন’। কিন্তু এর পর ম্যাজিক করে জনপ্রিয় গান ‘খাইকে পান বানারাসওয়ালা’।
১৩ / ১৮
এই গান তৈরি হয়েছিল দেব আনন্দের ‘বেনারসিবাবু’র জন্য। গানটি ফিল্ম থেকে বাদ দেন দেব আনন্দ। ‘ডন-এর পুরো কাজ শেষের পর অভিনেতা মনোজ কুমারের পরামর্শে এটি বিরতির পর যুক্ত করা হয়। গানটির রেকর্ডিংয়ে কিশোর কুমার সত্যিই পান চিবিয়েছিলেন!
১৪ / ১৮
মুখে মুখে হিট হয়ে যায় গান এবং মু্ক্তি পাওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহেই গানের সঙ্গে ‘ডন’-এর ভাগ্যও জ্বলজ্বল করে ওঠে। ব্লকবাস্টার ঘোষিত হয় ফিল্মটি।
১৫ / ১৮
এই ফিল্মের প্রযোজক মৃত্যুর আগে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। ফিল্ম থেকে যা লাভ হয় তার একটা অংশ প্রযোজক ইরানির স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। যা তাঁকে ঋণ মেটাতে সাহায্য করেছিল।
১৬ / ১৮
৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয় ‘ডন’ করতে। তার মধ্যে অমিতাভের পারিশ্রমিক ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। আর এই ফিল্ম থেকে আয় হযেছিল ৭ কোটি টাকা।
১৭ / ১৮
সে ফিল্ম এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে অনুপ্রাণিত হয়ে ২৮ বছর পর ফারহান আখতার তার রিমেক করেন। ১৯৮০ সালে ‘ডন’-এর তামিল রিমেক হয়েছিল, ‘বিল্লা’। কিন্তু তাতেও মূল ফিল্মের জৌলুস হারিয়ে যায়নি।
১৮ / ১৮
পরিচালক চন্দ্রা বারোটের এটি পঞ্চম ফিল্ম ছিল। এর আগের ৪টি ছবিই ছিল হিট। কিন্তু ডনের পরে তিনি ১৯৯১ সালে আর মাত্র একটিই ফিল্ম পরিচালনা করেন তিনি। সেটি তেমন চলেনি।