২০১৪। হোয়াইট নাইটে মেলবোর্নের রাস্তায় মানুষের ঢল।
মেলবোর্নে আজ রাতের রং সাদা। ভোর পেরোতেই ভারতের ম্যাচ। তার আগে শনিবার লক্ষ লক্ষ মানুষ রাত জাগবেন আপাতত ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকা এই শহরে। সারা রাত খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, সিনেমা হল, আর্ট গ্যালারি, মিউজিয়াম সব! আজ ‘হোয়াইট নাইট’ যে!
আন্তর্জাতিক উত্সব ন্যুই ব্লাঁশ-র অনুকরণে বছর কয়েক ধরে মেলবোর্নেও শুরু হয়েছে রাত-জাগা উপভোগের ঝলমলে উত্সব ‘হোয়াইট নাইট’। উন্মাদনার এই রাত টেক্কা দিতে পারে কলকাতার দুর্গা-অষ্টমীর রাতকেও। আর সে রাত শেষ হতেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ, এই মেলবোর্নেই!
‘শুভ্র রজনী’র উদ্যোক্তাদের মেনুতে কী নেই! মিউজিক, কনসার্ট, সিনেমা, থিয়েটার, মিউজিয়াম-আর্ট গ্যালারি দর্শন, আলোর রোশনাই যাকে বলে পুরো পারিবারিক প্যাকেজ। যাঁরা একটু প্রাপ্তবয়স্ক-মার্কা বিনোদনে আগ্রহী, তাঁদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সে ব্যবস্থাও আছে ঢালাও। আনন্দের কথা, উত্সবের একটা বড় অংশ উপভোগ করা যায় এক্কেবারে বিনে পয়সায়! ফলে, অনেক আগে থেকেই লোকজন পরিকল্পনা করে নিজেকে প্রস্তুত রাখে এ রাতের জন্য।
জনসংখ্যার ঘনত্বের নিরিখে মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। উত্তরে মেলবোর্ন মিউজিয়াম থেকে দক্ষিণে ন্যাশনাল গ্যালারি অব ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত প্রায় সব রাস্তাঘাট, পার্ক, ইন্ডোর হল, এমনকী অলিগলিতে ঠাসাঠাসি ভিড়। উদ্যোক্তাদের মতে, সাত-আট লক্ষ মানুষ রাতে ঘুরবেন শহর জুড়ে। ট্রেন, বাস, ট্রামে তিলধারণের জায়গা থাকবে না। এক ইভেন্ট থেকে অন্য ইভেন্টে যাওয়ার মাঝে চলবে খানাপিনা। যদিও এ দিন সন্ধে সাতটা থেকে রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা এই উত্সব চলার কথা। তবে, মূল ভিড়টা হবে রাত ন’টা থেকে মধ্যরাত পার করে কিছু ক্ষণ।
অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো থাকবে। তবে, তা যাতে মানুষের ঘোরাফেরা, মেলামেশা, হইচইয়ে কোনও বাধা না হয়ে ওঠে সে দিকে খেয়াল রেখেই তৈরি হয়েছে ‘শুভ্র রজনী’র খুঁটিনাটি।
আনন্দের এই রাত পোহালেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আর এক উন্মাদনা। সেখানে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। প্রশাসনের হিসেব মাঠে অন্তত ৯০ হাজার দর্শকের জমায়েত হবে।
সব মিলিয়ে জমজমাট সপ্তাহান্তে আপাতত মাতোয়ারা মেলবোর্ন।
ছবি: গেটি ইমেজেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy