Advertisement
১৮ মে ২০২৪

মানছি না

প্রায়শই এমন কথা শোনা যায় যে বাঙালি অলস, কর্মবিমুখ, পরনিন্দা-পরচর্চায় মগ্ন। বলা হয় যে বাঙালি হুজুগে বা আমোদগেঁড়ে। বাঙালি সপ্তাহের শেষের দিকে হরতালের ডাক দেয় যাতে দিন তিনেকের ছুটি উপভোগ করা যায়। এই ধরনের নানা বিশেষণে ভূষিত বঙ্গসন্তানের জাতীয় চরিত্র তা হলে কী! নাকি কোনও এক বিশেষ শ্রেণির স্বভাব-চরিত্র এই সব গুণে জারিত? এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই।

ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

গৌতম ঘোষ
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৫
Share: Save:

প্রায়শই এমন কথা শোনা যায় যে বাঙালি অলস, কর্মবিমুখ, পরনিন্দা-পরচর্চায় মগ্ন। বলা হয় যে বাঙালি হুজুগে বা আমোদগেঁড়ে। বাঙালি সপ্তাহের শেষের দিকে হরতালের ডাক দেয় যাতে দিন তিনেকের ছুটি উপভোগ করা যায়। এই ধরনের নানা বিশেষণে ভূষিত বঙ্গসন্তানের জাতীয় চরিত্র তা হলে কী! নাকি কোনও এক বিশেষ শ্রেণির স্বভাব-চরিত্র এই সব গুণে জারিত? এই নিয়ে তর্কের শেষ নেই। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের শ্রদ্ধেয় প্রযোজক (‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘মনের মানুষ’ খ্যাত) জনাব হাবিবুর রহমানের বাড়িতে বাঙালি চরিত্র নিয়ে আড্ডা-আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ এক জন মন্তব্য করলেন, ‘বাঙালিরা এত বদগুণ নিয়ে, সব কলহ ভুলে, অলস নিদ্রা ত্যাগ করে স্বাধীন বাংলাদেশ করে ফেললে! একটু ভেবে দেখবেন ভাইবোনেরা।’ মানতেই হবে যে বিরাট এক লড়াই ও লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতির নিজস্ব দেশের উত্থান। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে বন্দি ও শহিদদের একটা লম্বা তালিকা আছে। প্রথম দর্শনেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। ওই লম্বা তালিকার অর্ধেকের বেশি বাঙালি। তার পর পঞ্জাবিদের স্থান। বাকিরা এই উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের জাতীয়তাবাদী সৈনিক। বিদ্রোহীদের মধ্যে সংখ্যায় যারা বেশি, সেই দুই জাতির ওপর কোপ পড়ল ১৯৪৭-এর দেশভাগে। ভাগ্যের কী নিষ্ঠুর পরিহাস! বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ বহু যুগ ধরে ভাসমান। শুধু ব্রিটিশ আমলেই বারংবার বাংলাভাষী মানুষের ভৌগোলিক সীমারেখা পরিবর্তিত হয়েছে। ১৮৭৪ সালে বাংলা ভাষা-ভাষী সিলেট, কাছাড় ও গোয়ালপাড়া বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অসম প্রভিন্সে যুক্ত হয়। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের কুখ্যাত বঙ্গভঙ্গ নতুন সীমারেখার প্রবর্তন করে। ঢাকা শহরকে রাজধানী করে পূর্ববঙ্গ ও অসমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আর কলকাতাকে রাজধানী করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশার পৃথক প্রশাসন। ১৯১১ সালে যখন বঙ্গভঙ্গ তুলে নেওয়া হয় তখন বাংলাভাষী মানভূম ও ধলভূম বিহার রাজ্যে যুক্ত হয় আর সিলেট, কাছাড় ও গোয়ালপাড়া অসম প্রভিন্সে থেকে যায়। এর পর ১৯৪৭-এ আবার বঙ্গভঙ্গ। পূর্ব পাকিস্তান ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। ১৯০৫ সালে সমগ্র বঙ্গজাতি বিক্ষোভে, আন্দোলনে ব্রিটিশ মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ প্রতিবাদস্বরূপ অসংখ্য দেশাত্মবোধক গান লিখে বঙ্গসন্তানদের উজ্জীবিত করেছিলেন। অথচ ১৯৪৭-এর দেশভাগে বাঙালি জাতি নীরব দর্শক আর বাংলার ইতিহাস বীভৎস হত্যাকাণ্ডের কলঙ্কে জর্জরিত। হয়তো সামাজিক-রাজনৈতিক কার্যকারণে বাঙালি তখন সাম্প্রদায়িক মানসিকতার শিকার। এই চূড়ান্ত টানাপড়েন সত্ত্বেও বাঙালির বিদ্রোহী চরিত্র মাঝে মাঝে অবগুণ্ঠিত থেকেছে, কিন্তু অবলুপ্ত হয়নি। বাঙালির বীরত্ব ও বিদ্রোহী চরিত্রের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ এখানে নেই। দীনেশচন্দ্র সেন প্রণীত ‘বৃহৎ বঙ্গ’ থেকে উদাহরণস্বরূপ একটি অংশ উদ্ধৃত করলাম।

‘বাঙালীর বীরত্ব যে এককালে জগতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল, তাহা বাহিরের ইতিহাসে মাঝে মাঝে দৃষ্ট হয়। আমরা আত্ম-বিস্মৃত জাতি— আমাদের অতীত গৌরবের কথা আমরা কিছুই লিখিয়া যাই নাই, কিন্তু তথাপি পরকীয় ইতিহাসে মাঝে মাঝে সে গৌরবের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। একদা এই প্রাচ্য ও গঙ্গা-রাঢ় দেশের বিক্রান্ত যোদ্ধাদের ভয়ে জগজ্জয়ী আলেক্জেন্ডারের সৈন্যেরা পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়া পলাইয়া গিয়াছিল,— আলেক্জেন্ডার সাশ্রুনেত্রে মিনতি করিয়াও তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিতে পারেন নাই।

‘খৃঃ পূঃ প্রথম শতাব্দীতে মহাকবি ভার্জ্জিল তাঁহার Georgics (111,27) কাব্যে বাঙালিদের বীরত্ব দেখিয়া বিস্মিত হইয়া লিখিয়াছিলেন, “স্মৃতি-মন্দিরের দ্বারদেশে হস্তিদন্ত ও স্বর্ণের অক্ষরে আমরা এই গঙ্গারিডিদের (ভার্জ্জিল প্রভৃতির উল্লিখিত ‘গঙ্গারিডি’ শব্দ দ্বারা আনুগঙ্গ অর্থাৎ গঙ্গার এই সীমান্ত প্রদেশকেই বুঝাইতেছে। কেহ কেহ ‘গঙ্গারিডি’ শব্দ গঙ্গা-রাঢ়ী শব্দের রূপান্তর মনে করেন।) যুদ্ধের কথা ও বিজয়ী কুইরিনিয়াসের সৈন্যের সমর কৌশল চিত্রিত করিয়া রাখিব।” দ্বাদশ শতাব্দীতে কবি কল্হণ কাশ্মীরের ইতিহাসে কতিপয় বাঙালি সৈন্যের রাজভক্তির অতুলনীয় দৃষ্টান্ত দেখাইয়া কিভাবে তাহারা পরিহাস-কেশবের মন্দিরের পার্শ্বে প্রাণ দিয়াছিল, তাহা উচ্ছ্বসিত কবিতার ভাষায় লিখিয়া গিয়াছেন। কল্হণ লিখিয়াছেন, “এই মুষ্টিমেয় বাঙ্গালী সৈন্য সেদিন যে অদ্ভুত বীরত্ব দেখাইয়াছিল, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাও বুঝি তাহা পারিতেন না।” অথচ কবি এই বাঙালী বীরদের ঘোর শত্রু ছিলেন।’

সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বাঙালির বিদ্রোহী মনের ইতিহাস সুবিদিত। তা সে ধর্মীয় বা সামাজিক সংস্কারই হোক কিংবা রাজনৈতিক আন্দোলনই হোক। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে অসংখ্য উত্থান ও বিদ্রোহের দীর্ঘ এক তালিকা আছে সমগ্র বঙ্গদেশ জুড়ে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ধলভূম (১৭৬৯-৭৪), রংপুর (১৭৮৩), বিষ্ণুপুর (১৭৮৯), চুয়ার (১৭৯৯), সিলেট (১৭৯৯), তিতুমির (১৮৩১), কোল (১৮৩১-৩২), ভূমিজ (১৮৩২), পাগলপন্থী (১৮৩৩), ফিরাজী (১৮৩৮-৪৭), সাঁওতাল (১৮৫৫-৫৬)।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাঙালি ও বঙ্গদেশে বসবাসকারী অন্যান্য জাতির কৃষক সম্প্রদায় বিদ্রোহ ও উত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল।

বিংশ শতাব্দীতে অগ্নিযুগের সশস্ত্র সংগ্রাম বা সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করে ব্রিটিশ সামরিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া বাঙালির বিদ্রোহী মনের সমুজ্জ্বল প্রকাশ। তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে পঞ্চাশ ও ষাট দশকের লাগাতার বামপন্থী আন্দোলন দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। একই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করেছিল। ষাটের দশকের শেষে নকশালবাড়ি আন্দোলন দিল্লির মসনদ কাঁপিয়ে দিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল সশস্ত্র বিপ্লবের অঙ্গীকার নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিনের বাম শাসনে অভ্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে পরিবর্তনের হাওয়ায় নাড়িয়ে দেওয়ার কথা আমরা জানি। বাঙালি আত্মবিস্মৃত জাতি হতে পারে, কিন্তু ভীরু ও দুর্বল নয়। এক শ্রেণির বাঙালি অলস ও কর্মবিমুখ হতে পারে, সবাই নয়। বাংলার কৃষক উদয়াস্ত পরিশ্রম করে যে কৃষি-পণ্য উৎপাদন করে তার তুলনা নেই। আর যদি দুই বাংলার কৃষিজাত পণ্যের পরিসংখ্যান দেখি, তা হলে সেটা এই উপমহাদেশে সর্বোচ্চ স্থান পাবে বলেই আমার ধারণা।

মুঘল আমলে কৃষিজাত পণ্য সংক্রান্ত রাজস্ব সর্বাধিক আসত বঙ্গদেশ ও পঞ্জাব-সিন্ধ থেকে। আর ব্রিটিশ আমলে কৃষিপণ্য ও cash crop সমেত (পাট, চা ইত্যাদি) সর্বাধিক রাজস্ব আদায় হত বৃহৎ বঙ্গ থেকেই। একটা অলস জাতির পক্ষে পরিসংখ্যানের এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কি সম্ভব? পঞ্জাবের মতো আমাদেরও দুর্ভাগ্য হল রাজনৈতিক বিভাজন।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে সমগ্র ঊনবিংশ শতাব্দী বাঙালির চিন্তা-চিন্তনের জগতে এক সুবর্ণযুগ। ‘বঙ্গীয় নবজাগরণ’ নামে যা সুপরিচিত। এই নবজাগরণের কার্য-কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে নীতীশ সেনগুপ্ত তাঁর ‘Land of Two Rivers’ গ্রন্থে স্বল্প পরিসরে চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন—

‘The nineteenth century Bengal Renaissance was the product of a variety of circumstances: the advent of settled British rule, the so-called Pax Britannica, the economic boom brought about by the growth of Calcutta as a major world hub of industry, the introduction of English education and, along with it, the influence of western science and philosophy, the revival of the study of ancient Indian Sanskrit literature and philosophy, and the growth of a new middle class and a professional class. It was indeed a remarkable phenomenon of which there are few parallels in history of a small region blossoming into a whole range of creative activities- literary, cultural, social and economic. It produced a large number of stalwarts who changed the focus of Bengal.’

আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বঙ্গ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বলেছিলেন, এক শতাব্দীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রে এত মনীষীর আবির্ভাব একমাত্র চতুর্থ খ্রিস্টপূর্ব গ্রিস বা এলিজাবেথীয় ইংল্যান্ডের সঙ্গেই তুলনা করা যায়। ইউরোপিয়ান নবজাগরণের যেমন কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইতালি, তেমনই ভারতীয় নবজাগরণ ও জাতীয়তাবাদী চিন্তা এবং সমাজ সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বঙ্গদেশ। অধ্যাপক সুশোভন সরকারের মতে, বঙ্গীয় নবজাগরণের সূত্রপাত রাজা রামমোহন রায়ের সময়ে এবং সমাপ্তি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনকালে। কিন্তু চিন্তা-চিন্তনের এই ধাক্কা এতই প্রবল ছিল যে তার রেশ সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এখনও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঙালি মেধার বিচ্ছুরণ আমরা অস্বীকার করতে পারব না।

ইউরোপিয়ান নবজাগরণ আপামর জনসাধারণকে আলোড়িত করেছিল। বঙ্গীয় নবজাগরণ ছিল উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে। ফলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সাধারণ মানুষকে ছুঁতে পারেনি। আর যা পারেনি তা হল হিন্দু ও মুসলমান বাঙালির যৌথ সংস্কৃতির বিকাশ। এত বীরত্ব ও বিদ্রোহের ইতিহাসে কোথাও যেন একটা ব্যবধান রয়ে গেছে। ‘মন তুমি কৃষিকাজ জানো না, এমন মানবজমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।’ আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সুষ্ঠু আবাদের অভাবে জমি অনুর্বর, অসার হয়ে পড়েছে। ফলে বাংলার শহরে, গ্রামে বিকৃত populist culture দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আমাদের মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমাদের হুজুগে সত্তার জয়ধ্বনি হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যমেধা জয়মাল্য পরে দামামা বাজাচ্ছে আর আমরা রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে নিজেদের আত্মাকে শান্ত করছি। আমাদের গণমাধ্যমের (সিনেমা, টেলিভিশন) অনুসন্ধান করার চেষ্টা নেই, আছে শুধু সস্তা নকলের প্রবণতা। Hollywood নামকরণের মানে না জেনেই মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নাম বদলে হল Bollywood, আমরাও সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে হলাম Tollywood! Wood তো দূর অস্ত, একখানা আমবাগানও নেই টালিগঞ্জে। রিয়েলিটি শো থেকে ধারাবাহিক সবই নকল। গল্প নকল, পোশাক নকল, অলংকার নকল। নকলের কারখানা আমার গণমাধ্যম।

আমরা কেন পারি না এমন এক বাণিজ্যিক ফসল ফলাতে যা অন্যান্য জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে? যেমন হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীতে? এখানেই বাঙালি অলস, কর্মবিমুখ, নকলনবিশ।

বিনিয়োগ আসবে, শিল্পতালুক হবে, উন্নয়ন হবে, কিন্তু নিজেদের মাজা ভেঙে গেলে, জাতিসত্তা অবলুপ্ত হলে সব তালগোল পাকিয়ে যাবে। এখন আশু প্রয়োজন সাংস্কৃতিক সংস্কার ও আত্মরক্ষার দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bangali gautam ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE