নজরে: আইপিএলে চমক রশিদ খানের লেগ স্পিন। ছবি: বিসিসিআই।
শিশির নিয়ে দুশ্চিন্তা আর রশিদ খানের ফর্ম সঙ্গী করে কলকাতায় এসে পৌঁছল ডেভিড ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সানরাইজার্স কলকাতায় এসে পড়ার পরে বেশির ভাগ ক্রিকেটারদের দেখা যায় সুইমিং পুলে নেমে পড়তে। বুধবার মুম্বইয়ের কাছে ম্যাচ হারের পরে ওয়ার্নার আইপিএলের ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘‘ওয়াংখেড়ে-তে পরে ব্যাট করাটা সব সময় সোজা। এখানে প্রথমে ব্যাট করে সেই স্কোর বাঁচানোটা খুব কঠিন। আমরা সেটা জানতাম। কারণ মুম্বইয়ের শিশির। শিশিরে বোলারদের কাজটা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’’
শনিবার ইডেনে কলকাতার বিরুদ্ধে নামবে সানরাইজার্স। তার আগে মুম্বই ম্যাচ হারলেও ওয়ার্নার-কে ভরসা দিচ্ছে তাঁর লেগ স্পিনারের ফর্ম। আফগানিস্তানের রশিদ খান এই আইপিএলের সবচেয়ে বড় চমক। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে যেখানে বাকি বোলারদের শিশির সামলে বল করতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, সেখানে রশিদ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন রোহিত শর্মার উইকেট।
ওয়ার্নার বলছেন, ‘‘আমার একটা চিন্তা ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই ছিল। মুম্বইয়ের মাঠে খেলার চ্যালেঞ্জ এবং শিশিরটা রশিদ সামলাতে পারবে কি না। পরে দেখলাম রশিদকে নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু ছিল না।’’
রশিদের সাফল্য অবশ্য বিনা পরিশ্রমে আসেনি। শিশিরে বল করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুশীলন করেছিলেন রশিদ। কী সেটা? ওয়ার্নার বলছেন, ‘‘প্র্যাকটিসে বলটা ভিজিয়ে বল করছিল রশিদ। এটা ওকে খুব সাহায্য করেছে। কিন্তু তবু বলব, এই অবস্থায় মাঠে নেমে রশিদ যে ভাবে বল করল, তা এক কথায় অনবদ্য।’’
শিশিরই যে তাঁদের প্রধান সমস্যা হয়ে গিয়েছিল, সেটা বলছেন ভুবনেশ্বর কুমারও। সানরাইজার্স পেসারের বক্তব্য, ‘‘আমরা বেশি রান তুলতে পারিনি। অন্যান্য মাঠে এই রানটা হয়তো গড়পরতা স্কোর হতে পারত, কিন্তু ওয়াংখেড়ে-তে বেশ কম। তার ওপর শিশির পড়ায় আমাদের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।’’ কিন্তু রানটা উঠল না কেন? ব্যাটসম্যানরা কেন ব্যর্থ হলেন? ভুবনেশ্বর বলছেন, ‘‘ব্যাটসম্যানরা যে ব্যর্থ, তা আমি বলব না। আমরা তো আশি রানের ওপর তুলে ফেলেছিলাম, কোনও উইকেট না হারিয়ে। আসলে এটা এমন একটা দিন গেল, যেখানে কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয়নি। ব্যাটসম্যানদের মারা শটগুলো সব ফিল্ডারদের হাতে চলে যাচ্ছিল।’’
ইডেনেও কিন্তু শিশির চিন্তায় রাখতে পারে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy