প্রিয়...
জল পড়ে পাতা নড়ে
তোমার কথা মনে পড়ে
তুমি আমার বন্ধু হও
নববর্ষের কার্ড লও
ইতি...
১লা বৈশাখ
অঙ্ক খাতার পাতা ছিঁড়ে একটি ভাঁজ। সেই ভাঁজ-করা চারপাতার হিসেবে প্রথম পৃষ্ঠায় রং-পেন্সিলে আঁকা একটি ফুল। হয়তো বিশ্বের সরলতম ফুল। মাঝখানে একটি ছোট গোল্লা, তাকে ঘিরে চারটি পাপড়ি। একটি গোল্লাসংলগ্ন বিন্দু থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বগামী রেখাটি অনেকটা হৃদযন্ত্রের আদলে উপরিভাগে একটু খাঁজ কেটে নেমে আসছে নীচে। আঁকার হাত ভাল থাকলে প্রারম্ভ বিন্দুতে মিলেছে, নইলে গোল্লায় ঠেকে গিয়েছে।
চৈত্রের শেষাশেষি পয়লা বৈশাখ আসি-আসি করলেই যে আমাদের অঙ্কন প্রতিভার স্ফুরণ ঘটত আর আমরা মনের সুখে খাতার পাতা ছিঁড়তাম, সেটাও ছিল অভিভাবককুলের কাছে গোল্লায় যাওয়ারই সামিল। কার্ড তো এক-আধটা নয়। ক্লাসেই প্রায় ত্রিশ-চল্লিশজন প্রিয় বন্ধু, ক্লাসের বাইরেও কম নেই।
অতএব কার্ড বানানোর বৃহত্ দায়িত্ব সম্পন্ন করতে হত গোপনে এবং অত্যন্ত দ্রুততায়। ফড়ফড় করে কাগজ ছোঁড়া, ঝপাট করে ভাঁজ করো, দ্রুত টানে এঁকে নাও ঘর বাড়ি ফুল পাতা প্রজাপতি নদী অথবা কিচ্ছু না, সম্পূর্ণ বাস্তবাতীত আঁকাজোকা, স্রেফ কিছু রঙিন গোল্লা বা সরল ও বক্ররেখার অকৃপণ ছবি। তলায় গোটা গোটা অক্ষরে শু ভ ন ব ব র্ষ। কেউ ‘সু’ লিখল, কেউ পরপর দুটো ব বসাতে ভুলে গেল, কেউ ষ-এর মাথায় রেফ দিল না। কী যায় আসে? কেউ কিচ্ছু মনে করে না এইবেলা। এমনকী রুলটানা কাগজেও কার্ড বানায় কেউ কেউ। বন্ধুত্বের বার্তাটি যে হৃদয়ের ভাপে উষ্ণ! ভেতরে যে কী লেখা থাকবে, তারও কি ঠিকানা ছিল কিছু?
তোমার কুকুর কালো কালো
আমার কুকুর ধলো ধলো
তুমি আমার বন্ধু হও
নববর্ষের কার্ড লও
চমত্কার বার্তা। কোথাও একটুও ধোঁয়াশা নেই। গোলমালও নেই। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন আমি ভারী ধাঁধায় পড়লাম সপ্তম শ্রেণির শ্যামার কার্ড পেয়ে। সে লিখল
তেজপাতাতে তেজো না
গোলাপফুলে মজো না
কার কথাতে রাগ করেছ
খুলে কেন বলো না
ইতি
শ্যামা
(অলঙ্কার নিকেতন)
স্কুলে শ্যামা নামের মেয়ের ছড়াছড়ি। তাই তাদের পারিবারিক সোনার ব্যবসায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন। কিন্তু আমাকে তো কেউ তেজপাতা দেয়নি। মা রান্নায় যে তেজপাতা দেন, পছন্দের পদ হলে তার তেজপাতা তুলে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই চেটে খাই। তাতে কি আমার তেজ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল? অপরাধবোধে আচ্ছন্ন হলাম আমি। তেজসপত্র লেহন আমার মধ্যে কিছুমাত্র তেজোবৃদ্ধি ঘটায়নি! আর ওই গোলাপ? ‘মজো’, মানে কী? চিনেমাটির বাটিতে দই পেতে রাখেন মা রাত্তিরে। সকালে বলেন, দ্যাখ তো, দইটা মজল কিনা! দিব্যি শিখে গিয়েছি আমি। দইয়ের ভাণ্ড একটু নেড়ে দিলে যদি ভিতরকার বস্তু নিস্তরঙ্গ থাকে তবে মজেছে। তা, আমি কি দই? আর গোলাপ তো কেউ আমায় দেয়নি! দেবেই বা কেন? আমাদের বাগানেই তো ফোটে অপরূপ সব গোলাপ!
আমার মধ্যে কেমন ভয়-ভয় লজ্জা-লজ্জা ভাব। বুঝতে না পারার সঙ্কোচ। তেজালো না হওয়া আর মজে না যাবার অপরাধবোধ। যেন শ্যামা অলঙ্কার নিকেতনের মিষ্টি আদুরে মেয়েটা আমার সমস্ত হ্রস্বতার রহস্য ধরে ফেলেছে! অতএব স্কুলে শ্যামাকে দেখলেই আমি মুখ ফিরিয়ে পালাতে লাগলাম।
নিয়ম হল তুমি যদি কার্ড পাও, তোমাকেও পাল্টা কার্ড দিতে হবে। আমি কিন্তু শিষ্টাচারের মধ্যেই গেলাম না। শ্যামাকে কার্ডও দিলাম না।
কিন্তু রানিবালার কার্ড পেয়ে আমার চোখে জল এল। তার রঙিন পেন্সিলও জোটেনি। আমাদের লেখার পেন্সিলেই আঁকা পাহাড়। পাহাড়ের খাঁজে সূর্য। অর্থাত্ পাশাপাশি গোটা কয় ত্রিভুজ। তার খাঁজে একটু আধাগোল। গোলের গায়ে একটি বড় দাগ, একটি ছোট, পরপর। আলোকরশ্মি ছড়িয়ে সূর্য উঠছেন। ভিতরে লেখা,
যখন তোমার কেউ ছিল না
ছিলাম শুধু আমি
এখন তোমার সব হয়েছে
পর হয়েছি আমি
রানিবালার মুখখানা চোখের সামনে ভেসে উঠছে আমার। আমি কি রানিকে দুঃখ দিয়েছি? কখনই বা দিলাম? শ্যামার কার্ড অনুযায়ী আমি যেমন রাগ করেছি এমন কিছুই জানি না, তেমনি রানিবালাকে পর করে দেবার কথাও আমি ভাবিনি।
আমি রানিকে কী লিখেছি?
মধ্যরাতে শেয়াল ডাকে
আমের গাছে আম পাকে
নতুন বছর তোমায় ডাকে
তোমার আমার ভালবাসা
এমনি যেন অটুট থাকে
আমি তো এমন কোনও ইঙ্গিত দিইনি যাতে মনে হতে পারে রানিবালা আমার পর হয়েছে! তা হলে?
আরও সব প্রাপ্ত শুভেচ্ছাপত্র খুলে অন্তত বারোটি পেলাম যাতে রানিবালার পদ্যটি লেখা। অর্থাত্, পদ্যটি বহজন আত্মস্যাত্ করেছে। কে তার রচয়িতা? কোন গভীর প্রবঞ্চনা তাকে এমন পদ্য লিখিয়েছিল? কোন বইতে এ সব লেখা থাকে? এমনতর বহু ভাবনা আমি ভাবতাম বারান্দায় বসে কিংবা সব্জিবাগানে ঘুরতে ঘুরতে। পাড়ার একটি বাড়িতে সূঁচসুতোর কশিদা নকশা করে লেখা কাঠের ফ্রেমে কাচ দিয়ে বাঁধানো,
পুরুষ তমালতরু প্রেম অধিকারী
নারী সে মাধবীলতা আশ্রিত তাহারি।
জঘন্য! আমি ভাবতাম! কে লিখেছে এমন বোকার মতো? আশ্রিত আবার কী? আশ্রিত তো আমাদের ময়নাপিসি। তাই তাঁর শীর্ণ হাত-পা, কালো করুণ মুখ। মামাবাড়িতে আশ্রিত আমোদিনীর ছেলে বলে শিবনাথ দিদার কাছে কী পিটুনি খায়! আশ্রিতের ছেলে বলেই চুরি করা তার স্বভাব! তাই বলে দিদা কি দাদুর আশ্রিত? যেমন বিশাল তেমনি দাপুটে দিদাকে সক্কলে ভয় পায়! দিদা কি মাধবীলতা?
অমন আকাট পদ্য আমার কোনও বন্ধুই কখনও লেখেনি। বেশ চমত্কার তাদের সব লেখা।
চাঁদ ওঠে ফুল ফোটে
ফোটে গোলাপের কাঁটা
নববর্ষে দেব তোমায়
ভুতো গাবগাছের আঠা!
তুমি আমার বন্ধু হও
নববর্ষের কার্ড লও।
আহা! কী অপূর্ব বন্ধুত্বের আহ্বান। গাবের আঠা যে খুবই কাজের জিনিস, কে না জানে! গাবগাছে ভূত থাকে জানা সত্ত্বেও আমার সুজনবন্ধু আঠা সংগ্রহ করতে চায়! এবং সে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ফোটা কেবলই পুষ্পের নয়, কাঁটারও। খাঁটি বন্ধুত্ব এমনই হয়। এরই সঙ্গে ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’-ও বিস্তর। শুখা গনগনে গ্রীষ্মে জল পড়া ও পাতা নড়ার অসম্ভাব্যতা আমাদের বন্ধুত্বের অন্তরায় হতে পারেনি। রানিবালার বিষাদসুরও বহুজনীন হয়ে যাওয়ায় আমার দুঃখ কমেছিল। কিন্তু শ্যামার সঙ্গে কিছুতেই আমি সহজ হতে পারিনি।
এর ঠিক দু’বছর পর জীবনের প্রথম প্রেমপত্রটি আমি পাই ‘প্রেম’ কী, কিছুমাত্র বোঝার আগেই। আমার চেয়ে তিন ক্লাস ওপরের সেই ছেলেটি বাস্তবে আমার চেয়ে আরও বড় ছিল, কারণ প্রতি বছরই সে পাশ করত এমন নয়। প্রেম কী, আজও আমি বুঝিনি। সে কেন আসে, কেন চলে যায় মহা-মহা অনুভবের অপূর্ব পুলক জাগিয়ে, দুঃখের-বেদনার অপরূপ মহিমা বুঝিয়ে দিয়ে কোন সে রসায়ন, জানি না আমি। কিন্তু শ্যামার সেই দুর্ভেদ্য পদ্যের খানিক সত্য করে আমার প্রথম প্রেমপত্র আমাকে নানান বিস্ময় উপহার দিয়েছিল। সে ছিল এক ছাপানো কার্ড! আমার প্রথম প্রেমপত্র এবং প্রথম প্রাপ্ত ছাপানো কার্ড। আমাদের চা বাগানের গুটিকয় দোকানে ও সব মিলত না। সে হয়তো কোচবিহার বা জলপাইগুড়ি থেকে আনিয়েছিল। মসৃণ গোলাপি, একটু লম্বাটে, মাঝখানে সোনালি রঙে ছাপানো একটি ডাঁটি ও পাতাশুদ্দু গোলাপ।
দেখে আমি মুগ্ধ। দেখছি তো দেখছিই। এর পাশে আমাদের হাতে তৈরি কার্ড যেন দুয়োরানির কুঁড়ে যা রাজপ্রাসাদের জানালা দিয়ে দেখতে দেখতে সুয়োরানির বড্ড হাসি পায়!
প্রেম বার্তাটি যে বয়ে এনেছিল সে বলল, ‘হাঁ করে দেখবিই শুধু। ভেতরে কী লেখা আছে পড়।’
খুললাম। সাদা পুরোট কাগজে লাল রঙে ছাপা ‘শুভ নববর্ষের সর্বাঙ্গীণ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।’
তার ঠিক উপরে লাল কালিতে হাতে লেখা, প্রিয়তমা। নীচে লেখা ‘তোমাকে আমি ভালোবাসি। জন্ম জন্ম বাসব। আজ থেকে আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা। আর উপরের সর্বাঙ্গীন কথাটার দিঘই (বানান অপরিবর্তিত) আর ন বাদ দিয়ে যা হয়, তোমার ওইসব চাই।’
সেই প্রথম প্রেমপ্রস্তাব আমায় স্পর্শ করেনি, কিন্তু আমি তার কিছুই ভুলিনি। তার প্রথম পাতা অতীব নয়নলোভন, ভিতরের বস্তু অরুচিকর। জীবনের আরও বহু বিষয়ের মতো তা প্রতীক হয়ে আছে। দর্শনসুখ অধিক সময়েই মানুষকে প্রতারিত করে। সেই সুন্দর কার্ডে ‘সর্বাঙ্গীণ’ কেটে-ছেঁটে যা দাঁড়ায় তার অপরিচ্ছন্নতা সম্যক বোঝার বুদ্ধি তখন আমার হয়নি, কিন্তু বিশ্রী কটু অনুভূতি হয়েছিল।
সেই ছেলেকে আজ আর দোষ দিই না। সে-ও তখন কিশোর। অপরিশীলিত। কিন্তু পরিণতবুদ্ধি কি সবসময় পরিশীলন ঘটায়? প্রেম যে শুধুই শরীর নয়। প্রেম স্বাধীন ও অপরাজেয়। ক’জন উপলব্ধি করতে চায়? সেই কিশোর একতরফা ঘোষণা করেছিল, আজ থেকে আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা। অপরপক্ষের মতামত জানার শিক্ষাই তার ছিল না। এমনই কি হয় না? বারংবার? স্কুলে, কলেজে, পাড়ায়, সহযাত্রায়, সহকর্মীতে, বন্ধুতে? প্রেমে বা দাম্পত্যে?
আমাদের সেই ছোটবেলার নববর্ষ কেবল অঙ্কন প্রতিভাই উশকে দিয়েছে এমন নয়, আমাদের কাব্যপ্রেরণাও জাগত বটে। বেশির ভাগ ছড়াই ছিল কালানুক্রমিকভাবে সংগ্রহ করা, কিন্তু আমার কখনও ধার করে কিছু লিখতে ইচ্ছে করেনি। আমি যে চল্লিশজনকে চল্লিশ রকম লিখে পাঠিয়েছি তা-ও নয়। মধ্যরাতে শেয়াল ডাকে/আম গাছে আম পাকে থেকে শেয়ালের জায়গায় গোরু, আমের জায়গায় জাম করেছি।
আমার এক বন্ধু একবার লিখল
হনুমানের লম্বা লেজ
পণ্ডিতমশাইয়ের লম্বা টিকি
রাজহংসের লম্বা গলা
এসো এবার অঙ্ক শিখি
ইতি ১লা বৈশাখ। শুভনববর্ষ ইত্যাদি। অনেকে তো এক-লা বৈশাখ মুখেও বলত। পয়লা বৈশাখেই সেই বন্ধুর অঙ্ক শেখার মৌলিক ইচ্ছা আমার একটুও বিস্ময়কর লাগেনি। যদিও সে ছিল বড়ই ফাঁকিবাজ ছাত্র, তবে ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে কি না, তাই হয়তো বর্ষবরণেই তার মাথায় আঙ্কিক বুদ্ধি খেলে থাকবে। আর সেই বৈশাখের প্রথম দিনে সংসারী ব্যক্তিরা যেতেন হালখাতায় পয়সা জমা করতে। মুদিদোকানের মাসকাবারি ব্যবস্থা। জমার চেয়ে খরচের পরিমাণ সদাই বেশি থাকত। আর বহুদিন পর্যন্ত হালখাতা বলতে আমার ধারণা ছিল একটা লাল টকটকে বিশাল খাতা, যা হাল-ধরা নৌকা বেয়ে আসে! আর সেই নৌকায় খাতার স্তূপের পাশে থাকে কাপড়-জামার গাঁটরি। কারণ নববর্ষে নতুন জামা পেতাম যে। নরম সুতির জামা। দামে শস্তা, গরমে পরে আরাম।
আমাদের এই প্রজন্ম, ধরা যাক উনিশশো পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের মাঝামাঝি যাদের জন্ম, আমাদের পরিণত বয়সের জীবনযাপন ছোটবেলার থেকে অনেক আলাদা। এক সরল, অনাড়ম্বর, বস্তুগত চাহিদাবিহীন স্বপ্ন কল্পনার জগত্ ছিল আমাদের। বছরের উত্সব পালনের হাতে-গোনা দিনে নববর্ষের সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভারী খুশি-খুশি লাগত ‘নারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’-এর হালকা গোলাপি মিষ্টি দই, সুগন্ধী চিঁড়ে আর নানাবিধ মিষ্টি অপেক্ষা করে আছে বলে, একটি নতুন জামা অপেক্ষা করে আছে বলে। আর রঙিন প্রজাপতির মতো বন্ধুদের কার্ড। আঁকাবাঁকা অক্ষরে, ভুল বানানে লেখা শুভ নববর্ষ!
বাতাবি লেবু, যাকে আমরা জাম্বুরা বলতাম, সেই দিয়ে ফুটবল খেলেও আমরা বিস্তর মজা পেয়েছি। আনন্দ যদি হৃদয়ে বসত করে, সেই আনন্দখানি পালনের জন্য উপকরণ আপনি জুটে যায়।
সেই সরলতর প্রজন্ম আমাদের, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈপ্লবিক ও দ্রুততম পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজিত করতে করতে দেখি হাজার যন্ত্র আমাদের জীবন ঘিরে ফেলেছে। আনন্দের সরলতা স্মৃতিমাত্র। নব্য প্রজন্মের জন্য আনন্দ বিষয়-আশয়, আনন্দ উত্সবমুখরতা। নতুন নতুন উত্সবের ভিড়ে কত কী না মানানো হচ্ছে, ভূতচতুর্দশী ভুলে হ্যালোউইন থেকে শুরু করে হালফিল রামনবমী।
এর মধ্যে সত্যিই একলা হয়ে গিয়েছে ১লা বৈশাখ। চৈত্রসেল না থাকলে নববর্ষ উত্সবের কথা ভুলেই যেত বাঙালি।
ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত বলে আমার আবেগ নষ্ট হয়নি এখনও। নস্টালজিয়া খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি। খাতার পাতা ছিঁড়ে, একটি হাল-ধরা নৌকা এঁকে, সব বন্ধুদের বার্তা পাঠালাম, সেই বন্ধুদের দলে ১লা বৈশাখও রইল।
গাছে গাছে ফুল ফুটেছে
তোমার কথা মনে পড়েছে
তুমি আমার বন্ধু হও
নববর্ষের কার্ড লও
শুভ নববর্ষ
১৪২৪
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy