ছবি : সংগৃহীত
ছোটবেলা থেকেই আপনার ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল আর অঙ্কুরিত ছোলা বা মুগ খাওয়ার অভ্যাস? ভাল-মন্দ না জেনেই দীর্ঘ দিন ধরে এই অভ্যাস করে আসছেন। খাওয়ার পর অনেক সময়ই লক্ষ করেছেন, মুখটা কেমন যেন তিতকুটে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে তা নিয়ে ভেবে দেখার কথা মাথায় আসেনি। কারণ আপনার ধারণা, অঙ্কুরিত দানাশস্যের মধ্যে যা আছে তা সবটাই ভাল, সেখান থেকে খারাপ কিছু হতেই পারে না।
অঙ্কুরিত দানাশস্যের সবচেয়ে বড় গুণ হল, এই ধরনের খাবার আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়, বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়, উৎসেচকের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও রক্তাল্পতা দূর করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, রক্তে থাকা ‘ব্যাড’ কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে অঙ্কুরিত দানাশস্য খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
মূলত ভেজানো ছোলা বা মুগকেই আমরা স্প্রাউট বা অঙ্কুরিত দানা হিসেবে খেয়ে থাকি। এ ছাড়াও আরও অনেক রকমের অঙ্কুরিত বীজও আছে। এমনি বীজ খাওয়ার চেয়ে অঙ্কুরিত, হওয়ার পর তা খেলে, তার পুষ্টিগুণের মাত্রা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।
বিশ্বের বহু অঞ্চলেই অঙ্কুরিত বীজ রান্না করে খাওয়ারও চল আছে। উপমহাদেশের বহু রান্নাতেই অঙ্কুরিত বীজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, অঙ্কুরিত বীজ রান্না করলে বা ভেজে খেলে তার মধ্যে আর কোনও গুণই অবশিষ্ট থাকে না।
এত গুণ থাকা সত্ত্বেও অঙ্কুরিত দানাশস্য সকলের জন্য সমান ভাবে উপকারী না-ও হতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাঁদের হজমের সমস্যা আছে বা পিত্তের ধাত আছে, তাঁদের রোজ এ খাবার না খাওয়াই ভাল।
যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে অঙ্কুরিত দানা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
যাঁদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে, তাঁরা বিকেল বা সন্ধেবেলা অঙ্কুরিত দানাশস্য খাবেন না।
কী ভাবে খেলে অঙ্কুরিত দানাশস্যের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে, অথচ শরীরও খারাপ করবে না?
১) জলে সেদ্ধ নয়, ভাপিয়ে নিয়ে খান।
২) দোসা, ইডলির মিশ্রণে মেশাতে পারেন।
৩) ডালিয়া বা নোনতা সুজির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy