Advertisement
E-Paper

খুদেদেরও হতে পারে ক্রনিক কিডনির অসুখ, প্রস্রাব দেখে কী ভাবে সতর্ক হবেন?

ছোটরাও কিডনির রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে মূলত জিনগত কারণে, সংক্রমণের প্রভাবে কিংবা রোগপ্রতিরোধ শক্তি কমে গেলে কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

Peeing in bed

ক্রনিক কিডনি রোগের আরও এক লক্ষণ হল প্রস্রাবের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৩
Share
Save

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেওয়া এবং রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজ করে বৃক্ক। কিডনির অসুখের বড় বিভ্রান্তি হল, এর সমস্যা ধরা পড়তে সময় নেয়। আর যখন ধরা পড়ে, তখন হয়তো অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। কেবল বড়দের ক্ষেত্রেই নয়, ছোটরাও কিডনির রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ছোটদের ক্ষেত্রে মূলত জিনগত কারণে, সংক্রমণের প্রভাবে কিংবা রোগপ্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ার কারণে কিডনির সমস্যা দেখা দেয়।

চিকিৎসকদের মতে, ছোটদের সবচেয়ে চেনা সমস্যা হল ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (ইউটিআই)। এটা বিভিন্ন বয়সের শিশুর, বিভিন্ন কারণে হতে পারে। একদম ছোট শিশুদের অনেক সময়েই ডায়াপার থেকে সংক্রমণ হয়। মলের জায়গা থেকেও নোংরা প্রস্রাবের পথে ঢুকে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা জরুরি। অনেক সময়েই ছোটরা প্রস্রাব চেপে রাখে, সেখান থেকেও মূত্রনাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এর আরও একটি কারণ হল কোষ্ঠকাঠিন্য। শিশুরা জল কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও ইউটিআই হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, যদি কোনও শিশুর বছরে বারপাঁচেক করে এই সমস্যা হয় এবং তা দীর্ঘকাল চলতে থাকে, তখন কিন্তু কিডনি ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির অসুখের লক্ষণ কী?

শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনির অসুখের লক্ষণগুলির মধ্যে হাত, পা কিংবা মুখ ফুলে যাওয়া অন্যতম। ক্রনিক কিডনি রোগের আরও এক লক্ষণ হল প্রস্রাবের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির বিগড়ানোর লক্ষণ। হঠাৎ শিশুর খিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি, দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলেও সতর্ক হতে হবে অভিভাবককে।

Drinking water

পরিমাণ মতো জল খাওয়া, দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব করা— এগুলি খুদেদের শেখাতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।

শিশুদের কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কী করবেন?

পরিমাণ মতো জল খাওয়া, দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাব করা— এগুলি খুদেদের শেখাতে হবে। বাচ্চাদের প্রস্রাব চেপে রাখার প্রবণতাও দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যগত কারণে যাতে সংক্রমণ না হয়, সেটা দেখা বিশেষ নজর দিতে হবে। ছোটদের প্যাকেটজাত খাবার থেকে যতটা দূরে রাখা যায় ততই ভাল। ওই প্রকার খাবারে অতিরিক্ত নুন থাকে, সেটা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। বাড়ির রান্নায় যতটা নুন প্রয়োজন, ততটাই ঠিক আছে।

Kidney Problem Kidney Disease
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy