Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Covid 19

Home Isolation Guideline: বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে হলে মেনে চলতে হবে কী কী নিয়ম, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

কোভিডের এই স্ফীতিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা আপাতত শতাংশের বিচারে আগের চেয়ে কম। রোগীদের নিভৃতবাসেই থাকতে দেখা যাচ্ছে।

নিভৃতবাস

নিভৃতবাস ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:২২
Share: Save:

গোটা দেশ জুড়ে রোজই লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, তবে কোভিডের এই স্ফীতিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা আপাতত শতাংশের বিচারে আগের চেয়ে কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাই রোগীকে থাকতে দেখা যাচ্ছে নিভৃতবাসেই। বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতে হলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, বুধবার, ৫ জানুয়ারি তা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেখে নিন সেই তালিকা—

বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে হলে মেনে চলতে হবে কী কী নিয়ম

বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে হলে মেনে চলতে হবে কী কী নিয়ম শৌভিক দেবনাথ

১। কোভিড আক্রান্তকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে পৃথক ভাবে নিভৃতবাস পালন করতে হবে। থাকতে হবে একটি নির্দিষ্ট কক্ষে। বিশেষত বয়স্কদের থেকে ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, কিডনির অসুখ, হার্টের সমস্যা প্রভৃতি কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন পরিজনদের থেকে থাকতে হবে দূরে।

২। যে কক্ষে রোগী থাকবেন, সেই ঘরে যথেষ্ট আলো বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। খোলা রাখতে হবে জানালা।

৩। রোগীকে সর্ব ক্ষণ ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে। আট ঘণ্টা অন্তর বা মাস্ক ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে মাস্ক। অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ করলে পরতে হবে এন ৯৫ মাস্ক।

৪। ব্যবহৃত মাস্ক ফেলার আগে সেটিকে দু’টুকরো করে কোনও একটি আবর্জনার ব্যাগে রাখতে হবে ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা।

৫। রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান বা ফলের রস বা অন্য স্যুপ, চা জাতীয় পানীয় পান করতে হবে।

৬। শ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সব প্রয়োজনীয় নিয়ম পালন করতে হবে।

৭। অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

৮। কোভিড আক্রান্তের ব্যবহৃত বাসন অন্য কারও ব্যবহার করা চলবে না।

৯। যে ঘরে আক্রান্ত থাকবেন সেই ঘরের যে যে জিনিসপত্রে সচরাচর হাত পড়ে সেগুলিকে নিয়মিত সাবান জল বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

১০। রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে হবে পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করে।

১১। প্রতিনিয়ত মাপতে হবে দেহের তাপমাত্রা। ৩ দিনের বেশি ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রার জ্বর থাকলে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বা ‘এসপিওটু’ ৯৩ শতাংশের কম হয়ে গেলে, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি কিংবা মানসিক সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE