কোন দাওয়াইয়ে চাঙ্গা থাকবে ফুসফুস, ঝুঁকি কমবে ক্যানসারের? ছবি: সংগৃহীত।
অল্প হাঁটাহাঁটি কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই যদি দম ফুরিয়ে আসার উপক্রম হয়? থাকতে পারে ফুসফুসের সমস্যা। ধূমপান তো বটেই, প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা বায়ুদূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হতে পারে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়া জরুরি। যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের তো বটেই, যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁদের ফুসফুসেও দূষিত পদার্থ জমে। বায়ুদূষণই হল তার মূল কারণ। ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ পরবর্তী কালে শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনকি, ক্যানসারের মতো অসুখের ঝুঁকিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। কী করে ফুসফুসকে দূষণমুক্ত করবেন? নিয়ম করে কয়েকটি পানীয়ে চুমুক দিলেই ফুসফুস থেকে টক্সিন পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে।
১) আনারসের রস: ফুসফুসে জমা নিকোটিন বা অন্য দূষিত পদার্থ সাফ করতে পারে আনারস। নিয়মিত এই ফল বা তার রস খেলে ফুসফুস চাঙ্গা থাকে।
২) হলুদ-আদার চা: ঠান্ডা লাগলে অনেকেই আদা খান। সর্দি-কাশি হলে গোটা আদা চিবিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রে আরাম হয়। সারা দিন মাঝে মধ্যে আদা চিবিয়ে খেলে ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ সাফ হয়। সকালে উঠে আদা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে চা খেতে পারেন। ফুসফুসে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দিতে এই পানীয় বেশ উপকারী।
৩) গ্রিন টি: এই চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। গোটা শরীরের দূষিত পদার্থ সাফ করতে এর বিকল্প নেই। ফুসফুসে জমা ক্ষতিকারক পদার্থও সহজে সাফ করতে পারে এই পানীয়।
৪) গাজরের রস: চোখ ভাল রাখতে নিয়মিত গাজর খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ফুসফুস পরিষ্কার করার মোক্ষম দাওয়াইও হতে পারে গাজর। রোজ গাজরের রস খেলে ফুসফুস দূষণমুক্ত থাকে, শ্বাসতন্ত্র থাকে চাঙ্গা।
৫) লেবু-মধুর জল: ওজন ঝরাতে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জলে লেবু, মধু মিশিয়ে খান। এই পানীয় কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সমান কার্যকর। ফুসফুস দূষণমুক্ত রাখতেও এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy