ওষুধ ছাড়াই কী ভাবে কমবে ব্যথা? ছবি: শাটারস্টক।
ঘুম থেকে উঠেই সারা গায়ে যন্ত্রণা, অফিসের ডেস্কে টানা বসে কোমরে তীব্র ব্যথা— ব্যথা-বেদনা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো ‘পেন কিলার’ কিনে খেয়ে নেন অনেকেই। কিন্তু এ ভাবে মর্জি মতো ওষুধ ক্রমাগত খেতে থাকলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার বদলে উপায় থাকলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। জেনে নিন, ব্যথা দূর করতে কোন তেল, ভেষজ এবং বিকল্প থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।
রোজমেরি তেল: এই তেল মাথাব্যথা, পেশি ও হাড়ের ব্যথা এবং খিঁচুনি নিরাময়ে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এটি প্রদাহ কমাতে পারে। সরাসরি ব্যবহার না করে অলিভ অয়েলের মতো অন্য কোনও তেলে মিশিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করতে হয় এটি। অলিভ অয়েলে তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা রোজমেরি তেল যোগ করলেই কাজ হবে।
ক্যাপসাইসিন: প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমের পদ্ধতি হিসেবে অনেকে মরিচের মধ্যে উপস্থিত ক্যাপসাইসিনও ব্যবহার করেন। এই পদার্থটি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা হলে একটি হালকা ঝাঁঝালো সংবেদন সৃষ্টি করতে পারে। অনেক ব্যথা উপশমকারী ওষুধে ক্যাপসাইসিন থাকে। ফলে সেই রকম ওষুধ ব্যবহার করলেও ভাল কাজ দেয়।
আদা: শরীরচর্চা এবং দৌড়নোর ফলে মাংসপেশির যে ব্যথা হয়, আদা খেলে সেই ব্যথা হ্রাস পায়। প্রদাহ কমাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। শরীরে যন্ত্রণা হলে রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া, আদা দিয়ে চা তৈরি করেও সারা দিনে মাঝেমাঝে চুমুক দিতে পারেন।
হলুদ: হলুদের মধ্যে কারকিউমা নামক একটি উপাদান থাকে, যা ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। বিশেষত হাঁটুর অস্টিয়োআর্থারাইটিসের চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রতেও ব্যথানাশক হিসাবে হলুদের প্রচলন রয়েছে। প্রদাহ কমানোর জন্যও অত্যন্ত কার্যকর হলুদ। রোজ রাতে কাঁচা হলুদ বেটে দুধে গুলে খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
যোগচর্চা: যোগ অনুশীলন প্রাকৃতিক ভাবে ব্যথা নিয়ন্ত্রণের অত্যন্ত উপযোগী একটি পন্থা। বিশেষত কোমর ও পিঠের ব্যথা দূর করতে খুবই উপকার হয়। যোগ মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করে, ফলে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ সংক্রান্ত ঘাড় ও মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও বেশ কার্যকর এটি। নিয়মিত যোগচর্চায় শরীরের বিভিন্ন পেশি সতেজ থাকে ফলে পেশির টান ও ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy