ত্বকের যত্নে ফলের খোসা। ছবি: সংগৃহীত।
শরীর ভাল রাখতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে ভিতর থেকে তরতাজা রাখা— ফলের ভূমিকা অপরিহার্য। তবে শুধু ফল নয়। ফলের খোসাও কিন্তু কম উপকারী নয়। বিশেষ করে রূপচর্চায় বেশ কিছু ফলের খোসা কার্যকরী। ত্বকের যত্নে অনেকেই নানা ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন। বাজারচলতি প্রসাধনীর বদলে ঘরোয়া টোটকায় বেশি ভরসা অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ফলের খোসার উপর।
কলার খোসা
কলা ছাড়িয়ে তার খোসা মুখে লাগান। এই খোসা শুধু আপনার মুখের ট্যানিং দূর করবে না, এই খোসা ব্যবহার করলে ত্বক টানটান থাকবে। এতে মুখের গর্ত বা বড় হয়ে যাওয়া কোষ.অনেকটা মিলিয়ে যায়। ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ এই খোসা আপনার দাঁতের জেল্লা ফেরাতেও দারুণ উপকারী।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসা ফাইবারে ভরপুর। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আপেলের খোসা ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ। তাই এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। আপেলের খোসার মধ্যে রয়েছে আরসোলিক অ্যাসিড, যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, স্থূলতার ঝুঁকি কমায়।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বিভিন্ন রান্নায় এই খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি হার্টের রোগীদের জন্য এই খোসা দারুণ উপকারী। ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এই খোসার কোনও তুলনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy