Advertisement
১১ মে ২০২৪
Belly Fat

ডায়েট করে কণ্ঠার হাড় বেরিয়ে আসছে, কিন্তু কোন দোষে পেটের মেদ কমছে না বলুন তো?

ওজন কমাবেন বলে অনেকেই প্রায় উপোস করে থাকেন। অজান্তেই খাবারের তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় কিছু যৌগ বাদ দিয়ে ফেলেন। তার ফলেও কিন্তু ওজন বেড়ে যেতে পারে।

Symbolic image of belly fat

কোমর, পেটের মেদ বাড়ছে কেন? ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৫
Share: Save:

নিয়ম করে শরীরচর্চা, জিমে যাওয়া, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা, পছন্দের খাবার একেবারে না খাওয়া— সবই করছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। গলার কণ্ঠা উঁচু হয়ে উঠলেও পেট ও কোমরের মেদ কিছুতেই কমছে না। এ দিকে ওজন কমাবেন বলে অনেকেই প্রায় উপোস করে থাকেন। অজান্তেই খাবারের তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় কিছু যৌগ বাদ দিয়ে ফেলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন, প্রয়োজনীয় যৌগগুলি রোজের তালিকা থেকে বাদ দিলে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। এ ছাড়াও এমন অনেক অভ্যাস আছে, যেগুলি অজান্তেই বাড়িয়ে তোলে পেটের মেদ।

আপনার কোন কোন দোষে বাড়ছে পেট, কোমরের মেদ?

১) পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া

ওজন কমাতে গিয়ে খাওয়ার তালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দিয়ে ফেলেছেন? এই ভুলেই কিন্তু শরীরচর্চা করা সত্ত্বেও পেটের মেদ একচুলও সরছে না। দেহের পেশি এবং টিস্যুগুলি মেরামত করতে কিন্তু সাহায্য করে প্রোটিন। এ ছাড়াও প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে না।

২) বড় পাত্রে খাবার খাওয়া

কম খাওয়ার ফন্দি হল ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া। বড় প্লেটে খাবার নিতে গেলে অনেকেই বেশি বেশি খাবার নিয়ে ফেলেন। পেটে জায়গা না থাকলেও নষ্ট হওয়ার ভয়ে খেয়ে নিতে হয়। এই ভাবেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার ঝোঁক বাড়ে।

৩) মদ্যপান করা

যদি ভেবে থাকেন, সপ্তাহে এক দিন বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করলে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না, তা হলে ভুল ভাবছেন। শুধু মদ্যপানই নয়, কৃত্রিম চিনি দেওয়া নরম পানীয় খেলেও কিন্তু পেটে বা কোমরে মেদ জমে।

৪) শরীরচর্চা না করা

শরীরচর্চা করছেন, কিন্তু জানেন না সেটি আপনার জন্য উপযুক্ত কি না। দেহের প্রতিটি অংশের জন্য কিন্তু আলাদা আলাদা ব্যায়াম আছে। সারা শরীরের ব্যায়াম করার পাশাপাশি শুধু পেট বা কোমরের মেদ ঝরানোর জন্য প্রশিক্ষকরা নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে বলেন।

৫) পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব

রাতে তাড়াতাড়ি না ঘুমোলে এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব থেকেই যায়। ঘুম কম হলে শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি ওজনও বাড়িয়ে তোলে। হালের একটি গবেষণা বলছে, যাঁরা রাতে গড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমোন, তাঁদের শরীরে ক্যালোরির আধিক্য রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE