মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হল হার্ট ফেলিওরের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। ছবি: সংগৃহীত।
ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিয়োলজির করা একটি গবেষণা অনুসারে, যাঁদের পা তুলনামূলক ভাবে মজবুত তাঁদের নাকি হার্ট অ্যাটাকের ও হার্ট ফেলিওর হওয়ার ঝুঁকি কম। মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হল হার্ট ফেলিওরের সবচেয়ে সাধারণ কারণ, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৯ শতাংশ রোগী এই অবস্থার শিকার হন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, শক্তিশালী কোয়াড্রিসেপ (ঊরু সংলগ্ন পেশি) থাকার ফলে করোনারি ধমনী রোগের রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে কম।
গবেষণাটি ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৩২ জন রোগীর তথ্য নিয়ে করা হয়েছে। এই রোগীদের ক্ষেত্রে আগে কোনও হার্টের অসুথ ছিল না। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৬৬ বছর, এবং ৭৫৩ জন অংশগ্রহণকারী পুরুষ ছিলেন।
হৃদয়ের সঙ্গে পায়ের সম্পর্ক কী? ছবি: সংগৃহীত।
পায়ের শক্তির সূচক হিসাবে সর্বাধিক কোয়াড্রিসেপ শক্তি পরিমাপ করা হয়েছিল। রোগীদের একটি চেয়ারে বসে পাঁচ সেকেন্ডের জন্য যতটা সম্ভব কোয়াড্রিসেপ পেশি সঙ্কুচিত করতে বলা হয়। গোড়ালির সঙ্গে যুক্ত একটি হ্যান্ডহেল্ড ডায়নামোমিটার কেজিতে সর্বোচ্চ মান গণনা করেছে। দুই পায়েরই কোয়াড্রিসেপ শক্তি পরিমাপ করে তার গড় করা হয়।
শুধু কোয়াড্রিসেপ শক্তি নয়, বয়স, লিঙ্গ, বডি মাস ইনডেক্স, পূর্বের মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা এনজিনা পেক্টোরিস, ডায়াবিটিস, অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ়, পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজ়িজ়— এই সব কিছু উপর পর্যালোচনা করেই গবেষণাপত্রটি তৈরি করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy