রোগ প্রতিরোধ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কিছু ভুল ধারণা। ছবি- সংগৃহীত
সুস্থ থাকতে এবং বাইরের যে কোনও সংক্রমণ থেকে মানবশরীরকে রক্ষা করতে প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বিশেষ এই ক্ষমতা কিন্তু জন্মের পর থেকেই স্বাভাবিক ভাবে শরীরে তৈরি হতে থাকে। এ কারণেই জন্মের পর থেকে অন্ততপক্ষে ছ’মাস সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করাতে বলা হয়। কারণ, এই দুধের মধ্যে দিয়ে শিশুশরীরে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। তবে অনেকেই মনে করেন, বাইরে থেকে নানা রকম খাবার খেয়ে বোধ হয় এই শক্তি বাড়িয়ে তোলা যায়। আবার অনেকেই মনে করেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার মানে, রোগের সঙ্গে বেশি করে লড়াই করার ক্ষমতা সঞ্চিত রাখা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল না হলেও ঠিক নয়। কারণ, বাইরে থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে মাত্র। তবে তা বাড়িয়ে তোলার কোনও প্রয়োজন নেই। অতিমারির সময়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলার এই হুজুগে গা ভাসিয়ে ছিলেন ছোট বড় সকলেই। কিন্তু কার্যত লাভ কতটা হয়েছে, তা কারও পক্ষেই নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কোন কোন প্রশ্নের উদ্রেক হয়?
বাইরে থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আদৌ বাড়িয়ে তোলা সম্ভব?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে থেকে বিভিন্ন কৃত্রিম সাপ্লিমেন্ট জাতীয় খাবার খেলেই যে প্রতিরোধশক্তি বেড়ে যাবে, এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। তা ছাড়া, বাইরে থেকে বাড়িয়ে তোলার প্রয়োজনও নেই। তবে প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে গেলে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন ধূমপান ত্যাগ করা, টাটকা ফলমূল, শাকসব্জি খাওয়া, পরিমিত মদ্যপান, সঠিক সময়ে ঘুমোনো, উদ্বেগ মুক্ত থাকা, পর্যাপ্ত জল খাওয়া।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে কি ক্ষতি হয়?
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। তেমন ভাবেই শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করলে, ভালর চেয়ে বিপদ একটু হলেও বেশি। প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে রোগের মোকাবিলা করার জন্য গচ্ছিত থাকে। কিন্তু তাকে বাইরে থেকে জোরদার করতে গেলে, তা দেহের সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকেও আক্রমণ করতে শুরু করে। শরীরে লোহিত এবং শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ হু হু করে কমে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy