ক্লান্তি
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অন্যতম লক্ষণ ক্লান্তি। অনেকেই প্রথম মাসে এই ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার রাতের টানা ঘুম হয় না। তাই শরীরও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম পায় না। যাঁদের এই ক্লান্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাঁদের সম্ভাবনা থেকে যায় যমজ সন্তানের। তবে কেউ খুব বেশি ক্লান্ত মানেই যে গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে, এমনটার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
উচ্চ এইচসিজি
এইসিজি বা হিউম্যান কোরিয়োনিক গোনাডোট্রোপিন নামের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। হোম প্রেগন্যান্সি কিটে এই হরমোন ধরা পড়ে প্রস্রাবে। তবে রক্তে কতটা এইচসিজি রয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পারে না এই পরীক্ষাগুলি। রক্ত পরীক্ষা করালে অবশ্য তা বোঝা যায়। ২০১৮ সালে করা এক সমীক্ষা বলছে, যাঁদের যমজ সন্তান ছিল গর্ভে, তাঁদের রক্তে এইচসিজি-র পরিমাণে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেশি ছিল।
দ্বিতীয় হৃদ্স্পন্দন
৮ থেকে ১০ সপ্তাহের মাথায় সন্তানের হৃদ্স্পন্দন শোনা যায়। যদি আপনার চিকিৎসক মনে করেন, দ্বিতীয় কোনও হৃদ্স্পন্দন শোনা যাচ্ছে,তবে তা যমজ সন্তানের ইঙ্গিত হতে পারে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেশির ভাগ চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড স্ক্যান করতে বলবেন।
স্ফীত পেট
মোটামুটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ পরই কারও স্ফীত পেট দেখে বোঝা সম্ভব যে তিনি মা হতে চলেছেন। কিন্তু অনেকে যাঁরা যমজ সন্তানধারণ করেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ২০ সপ্তাহের আগেই নাকি তাঁদের পেট স্ফীত হওয়া শুরু করেছিল। তবে বলে রাখা ভাল, কারও পেট ঠিক কোন সময়ে স্ফীত হবে, তা একেক জনের ক্ষেত্রে আলাদা হতেই পারে।
ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ১২ সপ্তাহ তেমন ওজন বাড়ে না। মোটামুটি ২ কেজি অবধি বাড়তে পারে। তবে ওজন বাড়া টের পাওয়া যায় তার পর থেকে। তবে যাঁদের যমজ সন্তান হয়েছে, তাঁরা অনেকে জানিয়েছেন, প্রথম ১২ সপ্তাহেই তাঁদের তুলনামূলক ভাবে বেশি ওজন বেড়েছিল।