ফ্যাটি হার্টের সমস্যা থাকলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাট্যাকের আশঙ্কা বাড়ে। প্রতীকী ছবি।
মধ্য তিরিশেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন রোগীর সংখ্যা আমাদের চারপাশে বেশ বাড়ছে। কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ, মানসিক টানাপড়েন, তার সঙ্গে খিদে পেলেই রাস্তার ধারে ফাস্ট ফুড খেয়ে পেট ভরানো। কাজের ফাঁকে সিগারেটে টান। দিনের পর দিন এই সব অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হতে তাঁদের শরীরে ঢুকে পড়ছে অল্পস্বল্প ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল-ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো অসুখ। এই সব কারণেই হৃদ্যন্ত্রের আশপাশে জমছে মেদ। শরীরে বাসা বাঁধছে ফ্যাটি হার্টের মতো রোগ।
ফ্যাটি হার্ট রোগটি আদতে কী?
ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে আমরা কমবেশি সচেতন হলেও ফ্যাটি হার্টের বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। এ ক্ষেত্রে হৃদ্যন্ত্রের চারপাশে মেদের একটি আস্তরণ পড়তে শুরু করে। এই আস্তরণটি একটু মোটা হয়ে গেলে শরীরের ভিতর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। আর তার জেরে নানা ধরনের শারীরিক অস্বস্তি লেগে থাকে। ফ্যাটি হার্টের সমস্যা থাকলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাট্যাকের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদ্যন্ত্রের অন্যান্য রোগও হতে পারে এর ফলে।
কী ভাবে এই রোগের ঝুঁকি এড়াবেন?
খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চা— এই দু’দিকে বিশেষ নজর দিলেই এই রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে নিয়মিত কতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তা খেয়াল করুন। এই অসুখটি প্রধানত জীবনযাপনের ধরনের উপর নির্ভর করে। যদি একদমই ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে, তা হলে ফ্যাটি হার্টের আশঙ্কা বাড়ে। এর পর ভাবতে হবে খাওয়াদাওয়া নিয়েও। শরীরচর্চা করে যত ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি কি অর্জন করছেন খাবারের থেকে? নিয়মিত কি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাচ্ছেন? তা হলে হৃদ্যন্ত্রের চারপাশে মেদ জমবেই।
কী ভাবে বুঝবেন ফ্যাটি হার্টের সমস্যা আছে?
ফ্যাটি হার্টের সমস্যার তেমন কোনও উপসর্গ হয় না। কিন্তু হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ফ্যাটি হার্ট। তবে ফ্যাটি হার্টের সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়ে সিটি স্ক্যানে। কিন্তু সাধারণত ফ্যাটি হার্ট আছে কি না, তা দেখার জন্য সিটি স্ক্যান করা হয় না। অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যান করতে। তখন ধরা পড়তে পারে ফ্যাটি হার্টের সমস্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy