Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Medical Tests

৫ শারীরিক পরীক্ষা: ৩০-এর পর রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতে চাইলে ছেলেদের নিয়মিত করাতে হবে

খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। শরীরে বড় রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। ৩০ পেরোলে কোন কোন শারীরিক পরীক্ষা নিয়মিত করানো জরুরি?

৩০-এর পর ছেলেদের কোন ৫টি শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে?

৩০-এর পর ছেলেদের কোন ৫টি শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে? ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৪
Share: Save:

বাড়ির আর পাঁচ জনের টুকিটাকি চাহিদার খেয়াল রাখলেও ছেলেরা নিজেদের শরীরের উপর খুব বেশি মনোযোগ দেন না। সারা দিন অফিস কিংবা কাজের ব্যস্ততার মাঝে শরীরের জন্য আলাদা করে সময় বার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না কারও কারও। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা— এই সব অভ্যাসে কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। শরীরে কোনও বড় রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই ৩০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের।

কোন ৫টি পরীক্ষা করাতে হবে?

১) মানসিক চাপ: ৩০-এর কোঠায় অনেকেই কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক চাপও। সব মিলিয়ে চাপ পড়ে মনের উপর। এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজন মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে।

২) ডায়াবিটিস: ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও বেড়েছে এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। এক দিন খালি পেটে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনি ডায়াবেটিক কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবিটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, ধরা পড়ে যায় তা-ও।

৩) প্রস্টেট ক্যানসার: পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার অন্যতম। ৩০ পেরোলেই তাই এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো ধরা পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। দু’বছরে এক বার ‘প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা করানো জরুরি।

৪) লিপিড প্রোফাইল: রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদ্‌রোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ৩০ পেরোলেই রক্তে স্নেহপদার্থের মাত্রা কত, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে অনেক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

৫) হরমোন: পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজ়ম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ একটা বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই ৩০ পেরোলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medical Tests Blood Tests
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE