কোন চায়ে চুমুক দিলেই ডায়াবিটিসকে জব্দ করা যাবে? ছবি: শাটারস্টক।
পাঁঠার মাংস হোক কিংবা কবাব— তাতে দারচিনি না পড়লে সেই স্বাদ আসে না। কেবল রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে দারচিনির স্বাস্থ্যগুণও অনেক। শরীর চাঙ্গা রাখতে, রোগবালাই দূর করতে রোজ সকালে নিয়ম করে দারচিনি-চায়ে চুমুক দিয়ে দেখুন, দূর হবে বেশ কিছু রোগব্যাধি।
প্রদাহ কমায়: শরীরের বিভিন্ন রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে, রক্ত জমাট বাঁধলে লাভ হতে পারে দারচিনি-চা খেলে।
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়:
ট্রাইগ্লিসারাইড বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই মশলা। সব মিলিয়ে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে দারচিনির চা নিয়মিত খেতে পারেন।
পেটের সমস্যা থেকে রেহাই: অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা বছরই পেটের সমস্যায় ভোগেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হোক কিংবা গ্যাস, বদহজম— পেটের সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও দারচিনি চা খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: দারচিনিতে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। রোজ নিয়ম করে এই চা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকও। বর্ষায় মরসুমি সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে দারচিনি-চা খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: মেদ ঝরানোর চেষ্টা করছেন? রোজ সকালে আর বিকেলে এক চিমটে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে চিনি ছাড়া লিকার চা খান। এই পানীয় শরীরের বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: টাইপ টু ডায়াবিটিস থাকলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তাই বেড়ে যায় রক্তের শর্করার মাত্রা। দারচিনি চা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ায়।
ঋতুস্রাবের সময়ে রেহাই: ঋতুস্রাবের সময় পেটের যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব, মাথা ধরার মতো সমস্যা কমবেশি সব মহিলাকেই কাবু করে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ওই পাঁচ দিন দারচিনি চায়ের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy