এক সদ্যোজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের মানিকচকে। রবিবার সকালের ঘটনা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতাল কর্মীকে মারধর-সহ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সদ্যোজাতের বাবা পেশায় দিনমজুর সুমন ঝা-র বাড়ি মানিকচকের সোনারপুর এলাকায়। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ সুমনের স্ত্রী জ্যোৎস্না ঝা-র প্রসববেদনা ওঠায় মানিকচক গ্রামীণ আসেন তাঁরা। অভিযোগ, হাসপাতালে কোনও রকম পরীক্ষা না করেই প্রসূতিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। মালদহ হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন জ্যোৎস্না। কিন্তু, ওই সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি। এর পর ওই পরিবারের সদস্যরা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ফিরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই প্রসূতি আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই এসেছিল। সে কারণেই তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালের এই বক্তব্য মানতে নারাজ ওই পরিবারের মানুষজন।
এ দিন সদ্যোজাতের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন সুমনের প্রতিবেশীরাও। তাঁদের রোষের কবলে পড়ে গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার। তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, যছেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয়েছে অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মানিকচক থানার পুলিশকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় অভিযোগে ওই পরিবারের চার জন প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিনের ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে সকালে একটা গোলমাল হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যেই চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy